Breaking News

অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা এবং যেসব রোগের ঝুঁকি কমায় জেনেন

অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা:  প্রিয় পাঠক জলপাই থেকে যে তেল তৈরি করা হয় তাকে অলিভ অয়েল বলা হয়। একজন মানুষের স্বাস্থ্য থাকার জন্য অলিভ অয়েলের কোনো বিকল্প নাই। অলিভ অয়েল মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কোষ নষ্ট সহ বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে পরিচিত। আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলের অজানা অনেক উপকারিতা সম্পর্কে।

আমাদের দেহকে রোগ মুক্ত রাখতে অলিভ অয়েলের কোনো বিকল্প নাই। এটি আমাদের শরীরের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে সেই সাথে রক্তের কোলোস্টেরলের জারণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি দেহের দীর্ঘ স্থায়ী রোগ- ক্যান্সার, ডায়াবেটিস,হৃদরোগ, হজমের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা :

 

মানব দেহের জন্য অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী। শরীরে বাসা বাধা বিভিন্ন্ ধরণের জটিল রোগ নিয়ন্ত্রণ করে এই জরপাইরে তেল। অলিভ অয়েলে থাকা উপকারি কোলেস্টরাল শরীরের পরিপাক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। শরীরের দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা আলসার ও গেলস্টোন প্রতিরোধ করে সাথে পুষ্টির যোগান দেয়। অলিভ অয়েল সুন্দর ত্বক ও সুস্বাস্থ্যের জন্য ভূমিকা রাখে।

১/ ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে অলিভ অয়েলঃ-
অলিভ অয়েল গ্রহণের ফলে মরণ ব্যাধী ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এই তেলে থাকা অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের বিরুন্ধে কাজ করে। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে। যা ক্যান্সারের অন্যতম চালকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। গবেষণার প্রমাণিত হয়েছে যে জলপাই তেলের উপাদান গুলো ক্যান্সার কোষের বিরুন্ধে লড়াই করে।

২/অলিভ অয়েল হৃদরোগ প্রতিরোধ করেঃ-
হৃদরোগ সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী। এটি তুলনামূলক দূর্বল হার্টের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি যোগান দিয়ে থাকে। অলিভ অয়েলে থাকা মনোঅনস্যাচুরেটড নামক অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি অধিকাংশে কমায়। এটিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লোহিত রক্ত কনিকা গুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক থেকে আমাদের রক্ষা করে।

 

৩/সৌন্দর্যচর্চায় অলিভ অয়েলঃ-
সৌন্দর্যচর্চায় অলিভ অয়েলের কোনো জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলকে সৌহার্দ্যে ও শান্তির প্রতিক বলা হয়।অলিভ অয়েল ত্বককে সুন্দর ও কোমল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করে পাটা ফাটা সমস্যা সমাধান করে। ঠোঁটের যত্নে এই তেল খুবই কার্যকরী। ঠোঁটের মরা চামড়া তথা জমে কালচে দূর করে। লেবুর রস আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিনিএটির ফলে ঠোঁটের কোমলতা ফিরে পায় ও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়।চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে প্রতিরাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে এই তেল মালিশ করলে এই দাগ চলে যায়।

৪/ ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায় জলপাই তেল-
ডাায়াবেটিস টাইপ ২ এর ঝুঁকি অনেক অংশেই কমায় জলপাই তেল। জলপাই তেলে থাকা শর্করা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এর ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশষ্কা হ্রাস পায় ও ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝঁকি কমে আসে।

 

৫/ওজন নিয়ন্ত্রণ করে জলপাই তেলঃ-
শরীরের অতিরুক্ত ওজন নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। দ্রুত ওজন কমাতে অলিভ অয়েল জুড়ি নেই। এই তেলে থাকা ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ওফ্লাভেন-৩ শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম। এছাড়াও জলপাই তেল হজমের পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।

৬/ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অলিভ অয়েলঃ-
জলপাই তেলে থাকা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলিফেনাল মজুদ করে শরীরের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত জ্যলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কাচা জরপাই খেতে পারেন রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

 

৭/ চুলের যত্নে অলিভ অয়েলঃ-

চুল যত্নে জলপাই তেলের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। অলিভ অয়েলের থাকা শক্তিশালী উপাদান চুলকে করে উজ্জ্বল ও কালো করে। এটি ব্যবহার করার ফলে চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে। জলপাই তেলে থাকা ভিটামিন ই চুল ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।সাথে দ্রুত নতুন চুর গজাতে সাহায্য করে। লেবুর রসের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে খুঁশকি সমস্যা দূর করতে পারবেন।

 

পাঠক, অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল খুবই স্বাস্থ্যকর ও উপকারি। এটি রোগ প্রতিরোধ করে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই আমাদের সুস্থাস্থ্যের জন্য নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহ