দূত ত্বক ফর্সা করার সেরা ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক,আমরা সবাই ফর্সা এবং নিখুঁ ত্বকের অধিকারী হইনা।উজ্জ্বল সুন্দর ফর্সা ত্বকের সবারই দুর্বলতা রয়েছে।বর্তমান সমাজের একজন লোকের স্ব-যোগ্যতার পাশাপাশি গায়ের রং ও বিবেচ্য হয়।এতে করে কালো ও শ্যামলা বর্ণের মানুষেরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে।আর এসব কথা থেকে বাচঁতে অনেকেই রাতারাতি ফর্সা হওয়ার জন্য বাজার থেকে নিম্নমানের ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। এতে লাভের চেয়ে ত্বকের ক্ষতি বেশি হয়।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব কিভাবে দূত সময়ের মাঝে ঘরোয়া পন্ধতি ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করা যায়।দূত ত্বক ফর্সা করার সেরা ঘরোয়া উপায়
ত্বক কালো বা শ্যামলা হওয়ার কারণঃ-
আমাদের ত্বকে স্বাভাবিক ভাবেই মেলাানিন নামক একটি রঞ্জন পদার্থ তৈরি করে। এটি আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়।এছাড়া বাইরে তাপ,দূষণ এবং ব্যাকটেরিয়া মেলানিনের সাথে যোগ হয়ে আমাদের ত্বককে তামাটে করে তুলে।তাছাড়া আপনার ত্বকে প্রচুর পরিমাণে মেলানিন তৈরি করে তাহলে ত্বক কালো হয়ে যায়।
দুত ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ-কালো ও শ্যামলা ত্বক রাতারাতি ফর্সা ও সুন্দর করতে বাজার থেকে নিন্মমানের ক্রিম ব্যবহার করে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়।এসব ক্ষতিকর রাসাযনিক মিশ্রিত ক্রিম পরিহার করে প্রাকতিক উপায়ে ঘরোয়া পন্ধতিতে দূত ত্বক ফর্সা করার উপায়-
১/হলুদের ব্যবহারঃ-হলুদে কারকুমিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে হলুদের ফেইস প্যাক লাগাতে পারেন।১ চামচ হলুদের গুঁড়ার সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।হলুদ ক্ষত নিয়াময় করতে সাহায্য করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
২/অ্যালোভেরা জেলঃ-অ্যালোভেরা পাতা তথা জেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত।অ্যালোভেরা মুখের ব্রণ সারাতে খুবই কার্যকরী।প্রথমের অ্যালোভেরা পাতা হতে জেল বের করে নিতে হবে।অ্যালোভেরা জেলের সাথে বাদাম গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।তারপর মিশ্রণটি ভালোকরে মুখের লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন।তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এটি ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি ব্রণ সমস্যা দূর করে থাকে।অন্যদিকে বাদাম গুঁড়ো মুখে জমে থাকা ময়লা এবং ব্ল্যাক হেডস দূর করে থাকে।
৩/গোলাপজল ও কাঁচাদুধ মিশ্রণঃ– গোলাপজলের মাঝে এমন কিছু উপাদান আছে যা ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে।ফলে স্কিন আরও সুন্দর লাবন্যময় তুলতুলে করে তুলে।গোলাপজলের সাথে সমপরিমাণ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন।শিম্রণটি রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নি মুখ।এটি ব্যবহারের ফলে মাত্র দুই দিনের মাঝে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দূতই আপনার ত্বক ফর্সা ও সুন্দর করে তুলবে।
৪/মধুঃ– মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে সুন্দর ও কোমর আকর্ষণীয় করে তুলে।মধু মাখের ব্রণ সমস্যায় দূর করে থাকে।এটি মুখে ব্রণ হওয়ার ফলে ছোট ছোট গর্তগুলো দূর করতে সাহায্য করে।মুখ ও হাত পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে মুখ মুছে নিয়ে এক টেবিল চামচ মধু হাতে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০ মিনিটের মত।এটি নিয়মিত ব্যবহারে ফলে দূতই আপনার ত্বক ফর্সা ও সুন্দর করে তুলবে।
৫/ডাবের পানিঃ– ডাবের পানিতে রয়ে্রেচ এসেনশিয়াল মিনারেল,ভিটামিন, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, সাথে অ্যান্টি মাইকোক্লোভার ব্রণ থেকে ত্বককে বাঁচার ও ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।ডাবে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের পোড়াভাব দূর করে ত্বককে সুন্দর করে তুলে।দিনে দুবার যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায়,তাহলে ত্বক ফর্সা হতে একেবারেই সময় লাগে না।
৬/দুধ কলা মিশ্রণঃ– অল্প সময়ের মাঝে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে কলার কোনো বিকল্প নেই।দুধের সাথে কলা মিশ্রণ করে লাগালে খুব দূত সময়ের মাঝেই ত্বক সুন্দর হয়ে যায়।প্রথমে একটি কলাকে চটকে নিয়ে দুধের সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।তবে মনে রাখবে দুধ কলার পেষ্টটা যেন একেবারে মিহি হয়। তবেকই এটি দূত কাজ করবে মুখের ত্বক সুন্দর ও ফর্সা করতে।
৭/টমেটোঃ– খাবার সবজি টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপন নামক উপাদান।যা আপনার ত্বকের দাগ গুলো দূর করতে ও মৃত কোসগুলো সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।২ টি টমেটো পেষ্ট করে নিয়ে তাতে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ২০ মিনিটের মত মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন।তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি আপনাকে খুব দূকই সুন্দর ও ফর্সা করতে
সাহায্য করে।
পাঠক, উপরে প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে পন্ধতিগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে দূত সময়ের মাঝে আপনা চেহারাকে আকর্ষণীয় সুন্দর ও ফর্সা করে তুলবে।মহিলা ও পুরুষ দুজনেই এই ঘরোয়া পন্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। ধন্যবাদ