Breaking News

নিতম্বের মেদ কমানোর উপায়

সাধারণত কোমরের পিছনের অংশ কে অর্থাৎ পাছাক নিতম্ব বলা হয়। নিতম্বের ওজন ও বেড়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবে যদি শরীরের ওজন বাড়ে তাহোলে নিতম্বের ওজন ও বেড়ে যায়। এতে দেখতে অনেকটা খারাপ দেখায়। অনেক সময় পছন্দের পুরানো কাপড় ও পড়া যায় না। যেকোনো কাজ করার সময় শরীরকে খুব ভারী মনে হয়। তবে এই নিতম্বের ও মেদ কমানোর কিছু উপায় আছে। যেগুলো নিয়ম মেনে করলে নিতম্বের মেদ থেকে বাঁচতে পারবেন।

আসুন জেনে নেই নিতম্বের মেদ কমানোর উপায়

 

১।প্রথমত খাওয়া দাওয়া তে পরিবর্তন আনতে হবে। যাকে বলা হয় ডায়েট। আর ডায়েট তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খেলে মেদ বেড়ে যায়। এছাড়া ভাজা পোড়া খাবারে ও প্রচুর ফ্যাট আছে। যা আমাদের শরীরে ধীরে ধীরে ওজন কে বাড়িয়ে দেয়। তাই আমাদের বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে। চিনি মিষ্টি কম খেতে হবে। ভাতের ও রুটির পরিমাণ কমিয়ে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে মেদ কমে যাবে।

 

২।ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীরের অনেক বার্তি ওজন কমে যায়। ব্যায়ামে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি ঝড়ে যায়। হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি নিয়মিত ২বেলা করে ব্যায়াম করুন। বেশি বেশি হাঁটার চেষ্টা করুন। তাহোলে শরীরের ওজন কমে যাবে। তবে নিতম্বের ওজন কমাতে সাঁতার কাটা বিশেষ ভাবে সাহায্য। এতে পা এর আর কোমরের পেশির সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। রক্ত চলাচল ও ভালোভাবে হয়। তাই সাঁতার কাটুন।

 

৩।আমরা আরামপ্রিয় মানুষ। আমাদের অনেক সময় অতিরিক্ত বসে থাকার ফলেও চর্বি জমে যাবে। তাই হাঁটা চলা বসার সময় কিছু সঠিক ভঙ্গিমায় বসতে হবে। টেবিল চেয়ার নামাযে যেখানেই বসে অবস্থান করুন না কেনো মেরুদন্ড সোজা রেখে বসুন।পেটকে টেনে, মাথাকে সোজা রেখে, কাঁধ কে পেছনের দিকে ঠেলে সোজা হয়ে বসুন।হাঁটার সময় মেরুদন্ডকে সোজা করে হাঁটুন। এতে নিতম্বে চর্বি জমাট বাঁধবে না।

 

৪।পাছা কমানোর ব্যায়াম ও আছে। একে বলা হয় স্কোয়াট কিকব্যাক ব্যায়াম। প্রথমে দুই পায়ের মাঝখানে নিতম্বের মাপের চেয়ে কিছুটা বেশি ফাঁকা রেখে দাঁড়াতে হবে।দুই হাতে ভারী কিছু রেখে এবং তা পুরো ব্যায়ামের সময়ই কাঁধের উপরে তুলে রাখতে হবে। চেয়ারেবসার মতো বসতে হবে,এবার নিজের ওজন দিন দুই হাঁটুর এবং পায়ের গোড়ালির উপর। এরপর এক পায়ের উপর ভর দিয়ে অন্য পা ডান দিকে দিয়ে বামদিকে সোজা করে যথাসম্ভব পা ছড়িয়ে দিন। আবার আগের অবস্থানে ফিরে যান। এবার একইভাবে অন্য পায়ের এক্সারসাইজ করুন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ বার এই ব্যায়াম করুন।

 

৫।আরেকটি ব্যায়াম রয়েছে যাকে বলা হয় স্টার টাচেস এক্সারসাইজ। এই ব্যায়ামে প্রথমে এক পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং অন্য পা ৯০ ডিগ্রী পেছন দিকে বাঁকা করে নিতে হবে।এবার যে পায়ের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছেন সেই পা হালকা বাঁকা করে নিয়ে দুই হাত একইসাথে সামনের দিকে নিয়ে আসুন।এরপরে দুই হাত দিয়ে তারা বানানোর জন্য প্রস্তুত হোন এবং মেঝেতে একটি স্টার্টিং পয়েন্ট ও কিছু বিন্দু বেছে নিন।এবার সামনে দিকে ঝুঁকে যান এবং হাতের আঙ্গুল দিয়ে  মেঝের স্টার্টিং পয়েন্ট ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।একদিকে স্পর্শ করা হলে ধীরে ধীরে আগের পজিশনে ফিরে যাবেন এবং অন্য পয়েন্ট ছুঁতে চেষ্টা করবেন। এব চালিয়ে যাবেন ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না সবগুলো পয়েন্ট একসাথে তারা তৈরি করে। দুই পায়ের উপর ভর করে এক দফায় অন্তত একবার করে তারা বানিয়ে শেষ করার চেষ্টা করুন।

 

উপরে ২ট ব্যায়াম আর ৩টা পদ্ধতি দেখানো হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি অতি সহযে নিতম্বের ওজন কমাতে পারবেন। ব্যায়াম গুলো ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেলে সহজ হয়ে যাবে। আর ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ও ঠিক থাকে।