Breaking News

ছেলেদের ব্রণ দূর করার উপায়

বর্তমানে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ছেলে মেয়ে উভয়েই একই সমস্যায় ভোগে। এবং এই ব্রণ চলে গেলেও অনেক সময় দাগ থেকে যায়। এটি হলো Acne problem. যার ফলে অনেক সময় লজ্জা ও লাগে। বয়ঃসন্ধির শুরুতেই এই ব্রণের সমস্য দেখা দেয়। ছেলেদের ও এই সময় থেকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তবে একসময় ব্রণের পরিমাণ কমে যায়। সাধারণত হরমোনাল ইমব্যালেন্স অর্থাৎ হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্যেই ব্রণ হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া অনেক সময় ছেলেদের মুখের প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে ও এই ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। আর মেয়েরা তো বেশির ভাগেই আচার জাতীয় ভোজ্য তেলের খাবার বেশি খেয়ে থাকে এগুলা থেকেও ব্রণের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। তবে আমরা ব্রণ থেকে চিরতরে মুক্তি না পেলেও খাবারের প্রতি, তক্বের প্রতি যত্নবান হলে, কিছু সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এই সমস্যা অনেকাংশে রোধ করা যেতে পারে।

আসুন জেনে নিই ব্রণ থেকে পরিত্রাণের উপায়ঃ

 

১।ছেলেদের সাধারণত ঘামের সমস্যা বেশি। সেই ঘাম থেকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। যেমন ঘামের মধ্যে লুকিয়া থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের মুখের ত্বকে ব্রণের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যতবার সম্ভব হাত মুখ পরিষ্কার রাখা। গরম কালে উচিত ২বার করে গোসল করা। আর বেশি বেশি মুখ ধুয়ে পরিষ্কার রাখা। এতে জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসবে।

 

২।খাবারে পরিবর্তন আনতে হবে। অনেক খাবার আছে যেগুলা খেলে সাধারণত ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে যায়। সেসকল খাবার পরিহার করতে হবে। সাধারণত বাইরের খাবার খেলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব টা জমে যায়। সেসকল জাংক ফুড গুলো পরিহার করতে হবে।

 

৩।রাত জাগা ছেলেদের বর্তমান একটা অভ্যাস। এই অভ্যাস বিভিন্ন রোগের দিকে ঠেলে দেয়। রাত জাগা থেকে অনিদ্রা, টেনশন মানসিক চাপ ইত্যাদি সকল কিছু বেড়ে যায়। এই অনিদ্রা আর মানসিক চাপের ফলেও আমাদের ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। ছেলেদের বেশির ভাগের এই সমস্যা গুলোর কারণে ব্রণ হয়ে থাকে বেশি।

 

৪।ব্রণ থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমালে শরীর বিভিন্ন চাপ থেকে মুক্তি থাকে। ঘুমালে বিভিন্ন রোগ থেকে ও মুক্তি পাওয়া যায়। আর যাদের রাগ বেশি। তারা রাগ টাকে সামলিয়ে রাখবেন। অতিরিক্ত রাগের কারণে মানসিক চাপ বাড়ে।

 

৫।ছেলেরা বাইরে থাকে যার ফলে বেশির ভাগ সময় চা অতিরিক্ত পান করে থাকেন। অতিরিক্ত চা পান করার ফলে ও অনেক সময় ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই চা খাওয়া পরিহার করতে হবে।

 

৬।যারা মুখে সাবান করে তাদের উচিত সাবানের পরিবর্তে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা। সাবানে যে ক্ষার রয়েছে তা আমাদের ত্বকের পি এইচ এর মান কমিয়ে দেয় ত্বকের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর ফেসওয়াশ সাধারণত ত্বকের সাথে পি এইচ এর মান সমান রেখে তৈরি করা হয়। তাই ফেসওয়াশ ব্যবহারের ফলে তক্বের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।

 

৭।বার বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। ঠান্ডা পানির ফলে লোমকূপ গুলো খুলে যায় তখন ভিতরে থাকা জীবাণু গুলো বেরিয়ে আসে। যার ফলে মুখে আর ব্রণ উঠতে পারেনা। এছাড়া ছেলেরাও অনেক সময় মুখে কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করে। সেগুলার ফলেও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।

 

৮।সরাসরি রোদ থেকে ব্রণের আশংকা বেড়ে যায়। তাই ছেলেদের সান প্রটেক্টর, সানগ্লাস কিংবা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ব্রণের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে। সরাসরি রোদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন। এই রোদের আলো মুখের ত্বক ঘামিয়ে ব্রণ বেড়ে যায়।

 

চেষ্টা করবেন ত্বকের প্রতি বেশি যত্নবান হওয়ার। ভালোভাবে হাত মুখ শরীর পরিষ্কার রাখবেন। হাত মুখ ধুয়ে রাখবেন। খাবারের প্রতি সচেতনতা বাড়াবেন। তাহোলে এই ব্রণের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারেন।