Breaking News

পাথরকুচি খাওয়ার উপকারিতা, দেহের অনেক অসুখের মহা ঔষধ পাথরকুচি

পাথরকুচি খাওয়ার উপকারিতা : প্রিয় পাঠক, পাথরকুচি ভেষজ ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ উদ্ভিদ। প্রাচীন কাল থেকেই এই পাথরকুচি পাতা বা গাছ আয়ুর্বেদিক ইউনানী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই গাছের পাতা, শেকড়, বাকল কান্ড এসব দিয়ে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এটি ঔষধি গুণাগুন সমৃদ্ধ বহু পরিচিত গাছ। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বিভিন্ন রোগ ভালো করে থাকে। আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব পাথরকুচির উপকারিতা ও এর গুণাগুণ।

 

পাথরকুচি গাছ সাধারণত পাতা থেকে চারা জন্ম নেয়। তাছাড়া অনেক সময় গাছের বয়স হলে এই গাছের গোঁড়া হতে নতুন চারার জন্ম হয়।এই গাছ সাধারণত ২ ফুটের মত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা মাংসল ও মসৃণ ও আকৃতি ডিমের মত লম্বা ও গোল হয়ে থাকে। এই গাছের পাতা মাটিয়ে ফেলে রাখলেেই নতুন চারা জন্ম নিয়ে থাকে।

 

এবার জেনে নেই পাথরকুচি পাতা বা গাছের উপকারিতা ও এর গুণাগুণ:

 

১/ সর্দি কাশি ভালো করে পাথরকুচিঃ-
অনেকেই সর্দি ও কাশি অনেক দিন লেগে থাকে। এই সর্দি কাশি থেকে থেকে রেহাই পেতে পাথরকুচি পাতার রস খেতে পারেন। প্রথমে পাথরকুচি পাতা থেকে রস বের করে নিতে হবে পরে সেই রস গরম করে নিয়ে তার সাথে বাজার থেকে কেনা সোহাগার খৈ মিশিয়ে নিতে হবে। বানানো মিশ্রণটি সকাল বিকেল নিয়ম করে খেলে কয়েকদিনের মাঝে সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও পাথরকুচ পাতা ভর্তা করে খেলে সর্দি দূর হয়ে যায়। কিছু পাথরকুচি পাতা পরিষ্কার করে ধুযে নিয়ে সিদ্ধ করে নিয়ে তাতে অনান্য ভর্তার মত বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভর্তা করে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। এটি খাওয়ার ফলে সর্দি কাশির ফলে বুকে জমে থাকা কফ খুব সহজেই দূর করে ফেলে।

 

২/কিডনির পাথর দূর করে পাথরকুচিঃ-
পাথরকুচি পাতা বা পাতার রস কিডনির পাথর দূর করে ফেলে নিয়মিত পাথরকুচির পাতা চিবিয়ে খেলে বা পাতার রস খেলে কিডনির পাতর দুর হয়ে যায়। এছাড়াও এটি গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।

৩/পেট ফাঁপা বা পেটের গ্যাস সমস্যা দূর করে পাথরকুচিঃ

– অনেকেই পেট ফাঁপা বা পেটে গ্যাস সমস্যার ভোগেন। এই পেট ফাঁপার কারণে প্রসাব আটকে গিয়ে তরপেটে ব্যথা ও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এই সব সমস্যা থেকে বাঁচতে পাথরকুচির রস খেতে পারেন। পাথরকুচির পাতা থেকে রস বের করে তাতে একটু চিনি দিয়ে সাথে সামান্য পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে সহজেই আপনার পেট ফাঁপা বা গ্যাস সমস্যা দুর হয়ে যাবে।

 

৪/ বাচ্চা শিশুদের পে ব্যথা দুর করে পাথরকুচিঃ-
অনেক শিশুই পেট ব্যথার সমস্যার ভোগে। এটি অভিভাবকে জন্য খুবই দুশ্চিন্তাকর। এই ব্যথা হতে শিশুদের রক্ষা করতে যখন ব্যথা হলে সেসময় পাথরকুচির পাতার রস হাতে নিয়ে পেটে আস্তে আস্তে মালিশ করে দিতে হবে। এতে করে ব্যথা উপশম হবে। অবশ্যই ব্যথাটি পেট ব্যথা সেটি নিশ্চিত হয়ে এটি ব্যবহার করতে হবে।

 

৫/পাথরকুচির রস ত্বক ভালো রাখেঃ-
পাথরকুচির ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ গাছ বা পাতা। পাথরকুচি পাতাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। পাথরকুচির পাতা বেটে ত্বকে লাগালে ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে উঠে।এটি মুখের ব্রণ সম্যা দুর করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

 

৬/পাইলস ও জন্ডিস নিয়াময়ে পাথরকুচিঃ-
পাথরকুচি পাতার রস জন্ডিস ও পাইলস রোগ নিয়াময়ে খুবই কার্যকরী। এটি লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে। পাথরকুচির পাতার রসের সাতে গোল মুিরচ মিশিয়ে খেলে অর্শ ও পাইলস রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

 

৭/ মৃগী রোগের মহা ওষুধ পাথরকুচিঃ
মৃুগী রোগির মৃগী উঠলে সাথে সাথে এক চামচ পরিমাণ পাথরকুচি পাতার রস মুখে দিতে হবে। এই রস পেতে গেলেই সাথে সাথে মৃগ রোগির মৃগী উপশম বা কমে যাবে।

পাঠক, এছাড়াও নিয়মিত পাথরকুচির রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ,কলেয়া ,ডায়রিয়া বা রক্ত আমাশয় সহ বিভিন্ন রোগ নিয়াময় করে থাকে। তাই উপরুক্ত রোগ গুলো হতে রেহাই পেতে নিয়মিত এই ভেষজ পাতাটির রস খেতে হবে।ধন্যবাদ।