প্রিয় পাঠক, আদিকাল হতেই ভেষজ ওষুধ হিসেবে নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমপাতার রয়েছে বহু ঔষধিগুণ।নিমপাতা শরীরে ম্যাজিকের মত কাজ করে।ওষধি গুণাগুণ সমৃন্ধ নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা আছে।নিম পাতা চুলের যত্নে খুবই কার্যকরী।চুলের যত্নে নিমপাতার রয়েছে বহু ব্যবহার।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব ভেষজ ওষুধীগুণ সমৃন্ধ নিম পাতার ব্যবহার করে কিভাবে সহজেই চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা যায়।
নিম একটি ভেষজ ঔষধি গাছ,যায় ডাল,কান্ড,পাতা ওরস সবাই মানুষের কাজে লাগে।নিমগাছের এমন কোনো অংশ নাই যার উপকারিতা নেই।প্রচলিত আছে যে বাড়ীতে নিমগাছ থাকে সে বাড়ীতে রোগ বালাই কম হয বা দূরে থাকে।যে বাড়ীতে নিমগাছ থাকে সে বাড়ীতে পোকা-মাকড়ও দেখা যায়।
নিমগাছের পাতা চুলের যত্নে বিভিন্ন ব্যবহার ও এর গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই ….
চুলের যত্নে নিম পাতার যত ব্যবহারঃ-
ওষুধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ নিমপাতার উপকারিতা সবারই চানা রয়েছে। নিম পাতা চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে থাকে।নিমপাতা শুধু চুলের একটি উপকার নয়,এটি একসাথে ব্যবহারের ফলে অনেক গুলো উপকারিতা পাওয়া যায়।
খুশকির দূর করতে নিম পাতাঃ-
মাথার ত্বকে খুশকি দুর করতে নিম পাতার বহু ব্যবহার রযেছে। চুল নষ্ট হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খুশকি।
মাথা থেকে খুশকি সমস্যা দূর করতে পারলে দ্রুতই চুলের অন্যান্য সহজেই সমাধান করা যায়। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংলার যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী।
নিমপাতা বাটার সাথে পরিমাণ টক দই মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করে নিন প্রথমে।পরে মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন।আধা ঘন্টা রেখে মাথায় শাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে ১ বার একই নিয়মে নিম পাতা পেষ্ট ব্যবহার করলে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
যেসব সমস্যায় নিম পাতা দারুণ কাজ করে
চুল ঘন ও কালো করে নিমপাতাঃ-অনেকেই চুল পড়ে যায়।চুলের বিভিন্ন ধরণে সমস্যা দেখা দেয়।চুল জনিত যেকোনো সমস্যায় জন্য বা চুল দূত বৃন্ধি করার নিমপাতা ব্যবহার করা খুবই উপকারী।
চুলের ত্বকে মরা চামড়া,রোদের ক্ষতিকর প্রভার থেকে নিমপাতা খুবই কার্যকরী।আধা কাপ নারিকেল তেল,এক চামচ অলিভ অয়েল, এক চামচ মেথি ও ২০ টি নিমের পাতা একসাথে গরম করে ছেকে নিতে হবে।রিকৃত মিশ্রণটি রাতে ভালো ভাবে চুলে দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।নিয়ম করে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে হবে।
েএভাবে ২ মাস বার করলে সহজের আপনার মাথার চুল ঘন ও কালো হবে।
উকুন নিয়ামরে নিমপাতাঃ-
নিম পাতাতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাস, অ্যান্টি সেপ্টিক ও অ্যান্টি ফাঙ্গালের মত গুরুতাবপূর্ণ উপাদান বিদ্যামান। চুলে উকুনের সমস্যাটি খুবই বিরক্তিকর সাথে বিব্রতকর। উকুন মাথায় ত্বকে রক্ত শোষন করে বেঁচে থাকে ফলের মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনে সমস্যা দেখা দেয়।সাথে যোগ হয় চুলকানী সমস্যা।
বাজারে পাওয়া নিন্মমানের রাসারনিক ক্ষতিকর প্রসাধনী বা শাম্পু ব্যবহার করেও এই উকুন হতে রেহাই পাওয়া যায় না।চুলের উকুন দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়। আধা কাপ নারিকেল তেলের সাথে ২০ টির মত নিমপাতা ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। রোতে শুবার আগে ভালোভাবে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিতে হবে এবং সকালে শাম্পু করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।সপ্তাহে ২ দিন নিয়ম করে ব্যবহার কবলে
উকুনের সমস্যা দূর করতে আধা কাপ নারিকেল তেলে ১৫-২০টি নিম পাতা জ্বাল দিয়ে নিম তেল তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে নিম তেল মাথার ত্বকে ও চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যেতে হবে এবং পরদিন সকালে চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। প্রতি ২-৩ দিন পরপর এই নিয়মে নিম তেলের ব্যবহারে উকুন পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।
পাঠক,চুল হচ্ছে হচ্ছে মানুষের সৌন্দর্য।তাই চুলের যত্ন নিতে হবে।নিম পাতা চুলের জন্য খুবই উপকারী।তাই চুলের যত্নে নিমপাতা ব্যবহার করুন। ধন্যবাদ।