প্রিয় পাঠক,মুখে ব্রণ সমস্যার পড়ে নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন।মুখের ব্রণ নিয়ে অনেকেই মহা- দুশ্চিন্তায় থাকেন।ব্রণ সমস্যা কিভাবে রাতারাতি দূর করা যায় তা নিয়ে অনেকেই নেট দুনিয়ার ঘাটাঘাটি করে থাকি।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব কিভাবে দূত সময়ের মাঝে আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন।
ব্রণ একটি কমন চর্ম রোগ।ব্রণকে অনেকেই একনি হিসেবে চিনে।মুখে ব্রণ মানেই ঝামেলা।কোনো অনুষ্ঠানের আগে যদি ত্বকে ব্রণ উঠে তাহলে আপনার সৌন্দর্য অনেক খানি ফিকে হয়ে যায়।নিয়মিত ত্বকে যত্ন নিলেও মাঝে মাঝে মুখে ব্রণ উঠায় সমস্যার আমাদের ভোগতে হয়।এই ব্রণ নিয়াময়ে রয়েছে অনেকগুলো প্রচলিত পন্থা। এছাড়াও আমরা আজ আপনাদের দিব কিছু গোপন টিপস্ যার মাধ্যমে আপনি সহজেই মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন।
মুখে ব্রণ উঠার কারণ সমূহঃ-
মানুষের শরীরে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড নামে এক ধরণে অয়েল বা তেল সরবাহ করা।কোনো কারণে যদি এটি বেশি বেশি অয়েল সরবাহ করে তাহলে তখনি মুখে দেখা দেয় ব্রণ।ত্বকে বেশি সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড অয়েল সরবাহ করার কারণ সমূহ।
১/ বংশগত কারণেঃ- কারও পরিবারে তথা বাবা-মার ব্রণ জনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত সন্তানেও ব্রণ উঠতে পারে ।
২/ হরমোনের পরিবর্তনঃ-বয়সন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়। এসময় শরীরের এন্ড্রোজেনের মাত্রা অধিকতর বেড়ে যায়। তাই এসময় অনেক বেশি ব্রণ উঠে থাকে। গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে।
৩/লাইফ স্টাইলঃ- ব্রণ উঠার অন্যতম কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ, অনিদ্রা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার।
*দুশ্চিন্তাঃ- অতিরুক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কারণে মুখে ব্রণ উঠে থাকে।
*নিদ্রাঃ-অতিরুক্ত রাত করে ঘুমালে বা ঘুম না আসলে মুখে ব্রণ উঠার সম্ভবনা থাকে।
*অস্বাস্থ্যকর খাবারঃ- অপরিস্কার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে ব্রণ উঠতে পারে।
*ভুল প্রসাধনীঃ- বাজারে নিম্নমানের মুখে ব্যবহার করার প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে ব্রণ উঠে। এছাড়া এসব ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে
মুখে মারাত্বক চর্ম রোগের দেখাও দিতে পারে।
*এছাড়াও মাদক জাতীয় কিছু গ্রহণ করলে তা থেকেও ব্রণ উঠতে পারে।তাই মাদক ও এলকোহল পরিহার করতে হবে।
ব্রণ দূর করার উপায়ঃ-ব্রণ থেকে বাঁচতে আমরা কিছু ব্যবহার করে থাকি।দোকানে পাওয়া প্রসাধনী বাদ দিয়ে কিছু সহজ ঘরোয়া প্রন্ধতি ব্যবহার করলে সহজেই মুক হতে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।এসব সামগ্রী অরগানিক,ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পাওয়া যায় তাই এটি ব্যবহার করা ভালো তেমনি নিরাপদও।
১/ শসার রসঃ শরীরের তৈলাক্ততা দূর করতে শসা খুবই কার্যকারী।বাসার বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিস্কার করলে সহজেই মুখের দাগ ও ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
২/মধুর ব্যবহারঃ- মুখে বা ব্রণের বাড়তি তরল পদার্থ কমিয়ে এনে সংক্রমণ কমাতে সাহয়্য করে মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক।
রাতে একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে রেখে পরদিন সকালের মুখ ধুযে ফেললে মুখের ব্রণ দূত সারাতে কাজ করে।মধুর সাথে দারুচিনি বো লেবুর রস মিশ্রণ করে একই অবস্থায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে আপনি আরও বেশি উপকৃত হবেন।এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দূতই ব্রণ দূর হবে।
৩/হলুদ ও নিমপাতাঃ- কাচা হলুদ ও নিমপাতা বেটে মিক্স করে করে পেষ্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন।এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে দুতই ব্রণ দূর হবে।
৪/টুথপেস্টঃ- দাত পরিস্কার করার জন্য ব্যবহুত টুথপেস্ট মুখের ব্রণ সারাতে কাজ করে।এটি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখলে ব্রণের ফোলাভাব কমে যায মাত্র কয়েক ঘন্টাতেই।কিন্তু জলে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যাবে না।
৫/বরফঃ-ত্বকের লালচেভাব ও সংক্রমণ কমাতে বরফ খুবই কার্যকারী। এছাড়া ব্রণের আকার দূত ছোট করতে বরফ সাহায্য করে। পাতলা কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে ব্রণের উপর এক মিনিট ধরে মালিশ করুন এবংি ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার একই পন্ধতিতে বরফ মালিশ করুন।এটি দুইবারের বেশি করবেন না। এটি নিয়মিত একই নিয়মে ব্যবহার করলে খুবই তারাতাড়ি ব্রণ দূর হয়ে যায়।
ব্রণ দূর করার জন্য আমাদের চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।কখনই ব্রণে হাত নিবেন না। ব্রণের রস বের করে ফেললে সেই রস মুখের অন্য জায়গায় লাগলে আরও বেশি ব্রণ উঠার সম্ভবনা থাকে। তাছাড়া আক্রান্ত স্থানে কালো দাগ বা গর্ত হয়ে যেতে পারে।তাই এসব আমাদের পরিহার করতে হবে।ব্রণ হলে অবশ্যই তৈলাত্বক ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে।বেশি বেশি পানি খেলে শরীরের বিষাক্ত সব পদার্থ বের হয়ে যায়,ফলে ব্রণ উঠে না বা উঠলেও দূত সেরে উঠে।মুখ আমাদের সৌন্দর্য বহণ করে তাই মুখেই যত্ন নিতে হবে। ধন্যবাদ।