Breaking News

ব্রণ কেন হয়?

ব্রণ শুধু এখন সমস্যা নয়। সুন্দর ত্বকের বিরুদ্ধে এখন এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আপনি যতই সচেতন হোন না কেন এখন ব্রণ একটি ত্বক জনিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায় অনেক রূপচর্চা, পরিচর্যা করার পরেও ব্রণ উঠে আর যেন ত্বক থেকে যেতেই চায় না। তবে এই ব্রণ হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। তক্বে যেকোনো জায়গায় ব্রণ দেখা দেয়। কপালে, পিঠে, নাকের ভাঁজে যেকোনো জায়গায় ব্রণ উঠে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা, ভুল প্রসাধনীর ব্যবহার, অতিরিক্ত ধুলাবালি, তেল ময়লা ইত্যাদি সকল কিছু ব্রণ হওয়ার কারণ। সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর হলেই ত্বকে ব্রণ উঠা শুরু করে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই ব্রণ উঠা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এর আগে পর্যন্ত এই ব্রণ নিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই ব্রণ উঠা তো বন্ধ হবেনা।

তবে এই ব্রণ কেন হয় তা থেকে মুক্তি পেতে হলে কি করতে হবে আসুন জেনে নেইঃ

 

১।ব্রণ উঠার প্রধান কারণ হলো মুখের ত্বকের অপরিষ্কার। সাধারণত আমরা অনেক সময় মুখে প্রসাধনী ব্যবহার করার পরে আর মুখ ধুয়ে ফেলিনা। এতে মুখে তৈলাক্ত ভাব জমে যায়। এই তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ উঠে বেশি। কেননা প্রসাধনীর সামগ্রী আমাদের তক্বের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে মিশে যায় না। এটি একটি আলাদা আস্তরণ তৈরি করে রাখে। এই আলাদা আস্তরণ আমাদের মুখে তেল ভাব তৈরি করে। যদি মুখ অপরিষ্কার রাখি এতে জেম থাকা তেল ত্বকের ভিতর প্রবেশ করে ত্বককে তৈলাক্ত করে রাখে।

 

২।ধুলাবালির কারণে ও মুখের ত্বকে ব্রণ উঠে। আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়ে বাইরে থাকি। রাস্তা ঘাটে ধূলাবালি আমাদের মুখে সরাসরি প্রবেশ করে। আমাদের মুখের ত্বকের উপর এই ধূলাবালির আস্তরণ জমে তৈলাক্ত ভাব জমে যায়। আমরা দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকার ফলে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে পারিনা। মুখ অপরিষ্কার এর ফলে এই ধূলাবালি গুলো ত্বকে জমাট বাঁধে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্রণ ও দেখা দেয় বেশি।

 

৩।আমরা চুলে শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার করি চুল পরিষ্কার করার জন্যে। কিন্তু এই শ্যাম্পু কন্ডিশনার আমাদের মুখের ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে। আমরা যখন চুলে ফেনা করে ফেলি অনেক সময় সেই ফেলা মুখের ত্বকে বেয়ে পড়ে। এই ফেনাতে আছে ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের মুখের তক্বের নরম লোমকূপ গুলো বন্ধ করে দেয়। ফলে তক্বের অভ্যন্তরীণ জীবাণু বেরিয়ে আসতে পারেনা। আর আমাদের তক্বে ব্রণের সৃষ্টি হয়। তাই শ্যাম্পু করার সময় খেয়াল রাখতে হবে।

 

৪।রাতে আমরা বেশিরভাগ মেয়েরা চুলে তেল দিয়ে ঘুমায়। যাতের পরেরদিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেললে চুল ঝকঝকে দেখায়। এই তেল আমাদের চুলের জন্যে উপকারী হলেও আমাদের মুখের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর বেশি। রাতে যখন তেল দিয়ে ঘুমায়। সেই তেল বালিশে লেগে যায়। আমরা রাতে যখন নাড়াচাড়া করি তখন সেই তেল গুলো আমদের মুখের লেগে যায়। আর সেই তেল মুখে জমে আমাদের লোমকূপের জীবাণু বাড়িয়ে দেয়। এই জমে থাকা তেল ও মুখের ব্রণ বাড়িয়ে দেয়।

 

৫।অনেকের খাবারের ফলে কিংবা বংশগত কারণে ব্রণ হয়। খাবারে যারা অতিরিক্ত মশলা, তেল ব্যবহার করি সেই খাবার গুলা আমাদের মুখের তেলতেলা ভাব বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া বাইরের খাবারের ফলে মুখের ব্রণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যাদের বংশগতভাবে ব্রণ হয় তাদের ব্রণ একটা নির্দিষ্ট বয়সে গিয়ে কমে যায়। তবে যদি বুঝা যায় কোনো কিছুর ফলে মুখে ব্রণ উঠে তাহোলে সেই কাজ গুলো পরিহার করা উচিত।

 

যেইসকল কাজগুলো আমাদের ব্রণ উঠা বাড়িয়ে দেয় কিংবা যেসকল খাবারে আমাদের ব্রণ বেশি উঠে সেইসকল খাবাত গুলো পরিহার করতে হবে। কিংবা যেই সকল প্রসাধনীতে ব্রণ বেশি হয় সেগুলো ব্যবহার না করা। সেই কারণে ব্রণ হয় সেগুলা না করা।