মাশরুমের উপকারিতা : প্রিয় পাঠক, মাশরুম সুস্বাদু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি। এই মাশরুম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি ও ভেষজ ঔষধি গুণে ভরপুর থাকে। বর্তমানে প্রায় সবার কাছেই পরিচিত। মানব দেহের প্রায় সকল প্রতিরোধ করে দেহকে রোগমুক্ত করে রাখে। এটি সাধারণত মাংসল ছত্রাক থেকে হয়ে থাকে যা সেই প্রচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করবো মাশরুমের ব্যবহার ও উপকারিতা নিয়ে।মাশরুমের রয়েছে জাদুকরী কিছুগুণ।নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীর ভালো ও সুস্থ্য থাকে। মাশরুমের অনেক প্রজাতির মাঝে মাত্র শতাধিক মাশরুম খাওয়ার উপযোগি। এই মাশরুমে সাধারণত আলু ও গাজর সবজির মতো এটাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে তার জন্য এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে।মাশরুমে প্রোটিন, ক্যালসিরাম, ফরফরাস, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়াল, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টি- অক্সিডেন্টসহ দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ন সব উপাদান বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন খাবারে মাশরুমের ব্যবহার বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়।
এটি বিভিন্ন খাবারে যুক্ত করে বা আলাদা ভাবে নতুন নতুন রেসিপি তৈরি খাওয়া যায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে অনেক জটিল রোগ থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে থাকে।মাশরুম বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
মাশরুম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
১/ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় মাশরুমঃ-
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে প্রেটিন- ফ্যাট থাকে, তাছাড়া এটিতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেন্টেরল নিমিষ করার উপাদান, লোভস্ট্রাটিন, অ্যান্টাডেনিন নায়ারিন থাকায়। এই উপাদান শরীরের কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে থাকে।
২/ গর্ভবতী মা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করে মাশরুমঃ-
মাশরুমে থাকা আমিষ, শর্করা, ভিটামিন, চর্বি ও মিনারেল সবগুলো একসাথে সমন্বয় করে শরীরকে সুস্থ্য ও সবল রাখে। মাশরুমে থাকা নিয়োসিন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য উপকারি এবয়ং এটি তাদের রোগ প্রতিরোগ করে থাকে। গর্ভবতী মা দের রক্তস্বল্পতা দূর করে থাকে মাশরুম। প্রসূতি মা রে নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন কারণ এতে আছে নিয়াসিন এস্কর্বিক এসিড যা গর্ভস্থ শিশুর শরীরে লোহিত কনিকার যোগান বাড়িয়ে দেয়। প্রসব হয়ে ওঠে সহজ।
৩/ টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে মাশরুমঃ-
মাশরুম মানব দেহে বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটিতে থাকা বেটা ডি, বেনজো পাইরিন, ল্যামপট্রোল ও টারপিনয়েড আছে যা টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। নিয়মিত মাশরুম খেলে ক্যান্সার ও টিউমারের কোষ গুলো নষ্ট করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।
৪/ দাতঁ ও হাড় গঠনে কাজ করে মাশরুমঃ-
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকার এটি ছোট বাচ্চাদের হাড় ও দাতঁ গঠনে কাজ করে থাকে।
৫/ কিডনি রোগ প্রতিরোধ মাশরুমঃ-
মাশরুমে থাকা নিউক্লিক অ্যাসিড ও অ্যান্টি অলার্জেন ও সোডিয়াম থাকার এটি ভয়ংকর কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার ফলে শরীরের বাসা বাধা এলার্জির দূর হয়ে যায়। জন্ডিসও দূর করে থাকে নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার ফলে।
৬/ চুলের সমস্যা দূর করে মাশরুশঃ
– যারা চুল পড়া ও চুর পাকা সমস্যার থাকেন তারা নিয়মিত মাশরুম খেতে পারেন। এটিতে থাকা সারফার সরববাহকারী এমাইনো অ্যাসিড থাকার চুলের যেকোনো সমস্যা দূর করে থাকে।
৭/ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধে মাশরুমঃ-
মাশরুমে কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাষ্টটিন, এনটাডেনিন, কিটিন এবং ভিটামিন বি, সি ও ডি থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিরাময় হয়।
পাঠক,শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে মাশরুম। পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে মাশরুম। ডায়েটে মাশরুম রাখলে অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবারের ক্ষতি অনেকটাই ঠেকানো যায়। তাই নিয়মিত মাশরুম খেয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখি। ধন্যবাদ।