শরীর স্বাস্থ্য চিকন হলে যেমন ভালো লাগেনা। তেমনি আবার বেশি ওজন হলেও ভালো লাগেনা। ওজন শরীরের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন অসুখের সৃষ্টি করে।
এক প্রকার শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার মতো। তবে ওজন কমানো তেমন একটা কঠিন বিষয় না। আগে দেখতে হবে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন কতোটা বেশি। আর আমাদের প্রাত্যাহিক কিছু নিয়ম কানুন পাল্টাতে হবে।
আসুন জেনে নেই…
খুব দ্রুত শরীরের ওজন কমানোর উপায় গুলোঃ
- আমরা জেনে থাকি ওজন কমাতে গ্রিণ টি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। গ্রীন টি তে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস।দেখা যায় নিয়মিত গ্রীন টি পান করলে সপ্তাহে ৪০০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় হতে পারে। তবে নিয়মিত ৪বার করে গ্রীন টি খেতে পারেন। যারা অন্যান্য চা খেতে অভ্যস্ত তাদের একটু অসুবিধা হবে। কারণ সাধারণ চা এর কোনো স্বাদ পাবেনা। তবে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এই গ্রীন টি দিয়ে আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিমিষে কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
- পানির অপর নাম জীবন। অর্থাৎ পানি ছাড়া আমাদের চলেনা। পানি পান করে মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণী ও বেঁচে আছে। অনেকে আবার বেশি পানি পান করেন না। একজন মানুষের দৈনিক ১লিটার পানি পান করা উচিত। পানি করার ফলে আপনার শরীরের যে ময়লা আবর্জনা আছে যাকে টক্সিন বলে তা পরিষ্কার করে প্রসাবের রাস্তার মাধ্যমে শরীর থেকে অপসারণ করে। যারা পানি কম পান করেন তারা এখন থেকে পানি বেশি বেশি করে পান করুন।
- ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য থাকে সুস্থ ও সাবলীল। ব্যায়াম করলে শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্য রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো করে হয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকেও দূরে থাকা যায়। দৌড়ানো, সাঁতার কাটা,জগিং করা ইত্যাদি ব্যায়াম এছাড়াও আরো কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমানো সম্ভব।
- যাদের বাইরে খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের আগে বাইরের খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। বাইরের খাবার গুলো সাধারণত তেলে ভাজা পোড়া হয় আর বেশি মশলা জাতীয়। এই অতিরিক্ত তেল আর মশলা শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার আহারে আরো বিভিন্ন রোগ হতে পারে। পেট খারাপ, ফুড পয়জনিং ইত্যাদি পেটের সমস্যা গুলো বাইরের খাবার থেকে বেশি হয়। তাই যারা বাইরের খাবার অভ্যস্ত তাদের আজ থেকে বাইরের খাবার পরিহার করবেন। এছাড়াও অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি যারা বেশি পরিমানে খান তাদের এই চিনি মিষ্টি খাওয়া বাদ দিতে হবে। চিনি মিষ্টতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। যা আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- অনেকেই বলেন ঘুমের কারণে ওজন বাড়ে। এই কথা ভুল। শরীরকে আরাম অরদান করার জন্যে ঘুম খুবই প্রয়োজন। তবে অনেকে দিনের বেলার ও ২ থেকে ৩ঘন্টা ঘুমাতে পছন্দ করেন। এই দিনের বেলার ঘুম কিন্তু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এর পরিবর্তে আপনি রাতে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিন।
দুপুরে খাওয়ার সাথে সাথে সাথে ঘুমাবেন না। এছাড়া ভাত খেয়ে সাথে সাথে পানি খাবেন না। কিছুক্ষন হাঁটা চলা করার পরে পানি পান করুন।
- যারা ঘরের কাজে অভ্যস্ত না তাদের উচিত ঘরের কাজ করা। বিশেষ করে ঘর মুছার মতো দীর্ঘ সময়ের কাজ। এতে আপনার শরীর থেকে ক্যালরি ক্ষয় করা সম্ভব। এছাড়াও যাদের নৃত্যের অভ্যাস আছে তারা গানের তালের সাহায্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট তাল মিলিয়ে নাচুন। এতে শরীরের ক্যালরি ঝড়তে থাকে।
- বেশি খাবার পরিহার করুন। ক্ষিধা লাগলে একটু একটু খাবার খান। এক্ষেত্রে পপকর্ণ খেতে পারেন। এছাড়া যে প্লেটে খাবার খেতেন তার থেকে ছোট প্লেটে খাবার আহার করুন। তাহোলের খাবারের পরিমাণ কমাতে সুবিধা হবে।
উপরোক্ত পদ্ধতিতে রয়েছে ওজন কমানোর কিছু সহজ পদ্ধতি। ইচ্ছা আর ধৈর্য্য থাকলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। শরীরের ওজন ঠিক থাকলে শরীর থাকবে সুস্থ্য ও নিরোগময়। তাই আসুন সঠিক নিয়মে চলি শরীরের ওজন সঠিকভাবে বজায় রাখি।