জন্ডিস হওয়ার লক্ষণ : প্রিয় পাঠক, জন্যিস একটি খুবই কমন রোগ। কম বেশি প্রায় সকলেই রোগের সাথে পরিচিত। কোনো না কোনো একটা সময়ের প্রত্যেকই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই জানিনা যে এটি কোনো রোগ না, সাধারনত এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গ মাত্র। শরীরের যখন বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমরা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে থাকি। বিলিরুবিন প্রধানত মানব দেহের রক্ত চলাচল ব্যবস্থায় বিগ্ন ঘটিয়ে থাকে। এই রোগের ফলে চোখ ও সারা শরীরের ত্বকের রং ক্রমশ হলুদভাব হতে থাকে।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে জন্ডিসের কারণ, প্রকারভেদ, লক্ষণ, জন্ডিসের টেস্ট, চিকিৎসা, জটিলতা, প্রতিরোধের উপায়, জন্ডিস রোগীর খাদ্য তালিকা সহ শিশুদের জন্ডিস বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হবে।
সদ্যে জন্ম নেওয়া শিশু থেকে যে কোনো বয়সের ব্যক্তি এই জন্ডিস রোগে আক্রন্ত হতে পারে। এই রোগটি সদ্যেজান শিশুর জন্য খুবই বিপদজনক, এটির ফলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জন্ডিসের বিভিন্ন লক্ষণ হয়ে থাকে। শরীরের ত্বক অতিরিক্ত হলুদ, চোখ হলুদ, মিউকাস মেমব্রেন হলুদ হতে থাকে। বিভিন্ন কারণে জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জন্ডিস ভালো হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ও ভেষজ মতো চললেই এই অসুখ সারিয়ে ফেলা সম্ভব।
জন্ডিস হওয়ার লক্ষণ :
অনেকেই মনে করেন জন্ডিস হলে বেমি বেমি পানি পান ককরতে হবে। কিন্তু সব সময় যে স্বাভাবিক পানি পান করেন এই রকম পানি পান করলেই হবে। ডাবের পানি, আখের রস বা গ্লুকোজ খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। অতিরিক্ত পানি খেলে আরও লিভার বা কিনডির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাদারনত জন্ডিসের রোগিদের বমি বমি বাব দেখা দেয় এবং খাবারের প্রতি অনিহা হযে থাকে। এরজন্য রোগিকে শরীরের স্যালাইন দেওয়া যেতে পারেন।
জন্ডিস হওয়ার কারন সমুহঃ-
*শরীরের রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হলে শরীরের জন্ডিস রোগ বাসা বাধে শরীরে। বাসী পচা খাবার খাওয়ার ফলে জন্ডিস হতে পারে। কারণ পরিবেশে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস খাবার দ্রুত নষ্ট করে থাকে।
*বিষাক্ত ও সংক্রমিত ফল বা পানি খেলে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সব সময় পানি ও ফল খাওয়ার আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যত্ন নিতে হবে। এছাড়াও রক্ত নালী গুলো বিলিরুবিন আক্রান্ত হলে তখন রক্ত নালী ব্লকেজ বা বন্ধ হয়ে যায় ফলে দ্রুত সময়ের মাঝে শরীর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
*ক্রনিক হেপাটাইটিস এ সি, ও বি এর ভা্ইরাস শরীরের প্রবেশ করতে পারলে জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এপস্টিইন বার ভাইরাসের কারণে জন্ডিস হওয়ার প্রধান কারণ।
*প্রচুর মাদক বা অ্যালকোহল গ্রহণ করলে এই মারাত্বক জন্ডিস রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছাড়াও জেনেটিক মেটাবলিক সমস্যার কারনে জন্ডিস হয়ে থাকে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ওষুধ হলে খেলে জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
জন্ডিস প্রধানত ৩ প্রকার হয়ে থাকে।
১/ হেপাটোসেলুলার জন্ডিস ২/ প্রিহেপাটিক জন্ডিস ৩/ পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস।
জন্ডিস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে নিন
* লিভারের আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি ভাগ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। লিভারে সমস্যা দেখা দিলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। শরীরের ওজন কমতে থাকলে তখন শরীরের জন্ডিস আক্রমণ করে থাকে। লিভারের সমস্যা সাথে জন্ডিস হলে রোগির মৃত্যু পযৃন্ত হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ীি চিকিৎসা নিতে হবে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে লিভার। এটি আক্রান্ত হলে খাবারের রুচি কমে যায় ফলে ধিরে ধিরে ওজন কমতে থাকে।এই রোগের ফলে চোখ ও সারা শরীরের ত্বকের রং ক্রমশ হলুদভাব হতে থাকে।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেরি হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।