প্রিয় পাঠক যতদিন যাচ্ছে পামার চুল গুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে।কম বয়সেই ছেলেদের মাথা হয়ে যাচ্ছে টাক।আপনি এই টাক মাথার আবার চুল গজাতে হন্যে হয়ে খুজছেন এর সমাধান।ছেলেদের অনেকেই চুল পড়ে মাথা টাক হয়ে যাওয়ার সমস্যার ভোগছেন। আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব কি কারণে মাথার চুল পড়ে যায়, এবং এই টাক মাথায় প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর নিয়মবলী।
মাথার চুল একজন নারীর যেমন সৌন্দর্য তেমনি একজন পুরুষ মানুষের জন্য সৌন্দর্য। চুলহীন মাথা পুরুষদের জন্য খুবই বিরুক্তকর।প্রতিদিন বিনা করাণের মাথার চুল পড়ে মাথা টাক হয়ে যায়। যদি বালিশের কভারে বা গোসলের তোয়াতে যখন ঝড়ে পড়া চুলের আধিক্য দেখা যায় তখন চুলের পরিচর্যার মনোযোগী হতে হবে।
টাক মাথার সহজ সমাধান, চুল গজাবে মাত্র ৭ দিনে ম্যাজিক পদ্ধতি
অধিকাংশ পুরুষের মাথার চুল পড়া শুরু হয় সাধারনত ২০ বছর বয়সের পর থেকেই।বিভিন্ন কারণের ছেলেদের মাথার চুল পড়ে থাকে।শরীরের দীর্ঘ মেয়াদি কোন রোগ থাকলে অনেক সময় মাথার চুল পড়ে যায়।বংশগত কারণের অনেক পুরুষের মাথা টাক হওয়ার আশষ্কা থাকে। এটি ছাড়াও যে মাথার টাক পড়বে না, এমন কোনো নিশ্চিয়তা নেই।
স্বাভাবিক ভাবে আমাদের মাথার চুল কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ধীরে ধীরে একসময় ঝড়ে পড়ে।পুরুষদের চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে হরমোনজনিত সমস্যা।এটির কারনে দূত সময়ের পুরুষদের মাথার চুল ঝরে পড়ে যায়। এ ধরনের সমস্যায় সাধারনত মাথার মাঝখান এবং কপালের দুপাশের চুল পড়তে থাকে।প্রথম দিকে মাথার অন্য অংশের তুলনার এসব জায়গায় চুল ফ্যাকাশে ও সরু হয়ে যায়।আস্তে আস্তে চুল গুলো ঝরে পড়ে যায়।
চুল পড়া বন্ধ করতে অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করেও পাচ্ছে না সঠিক সমাধান। চুল পড়া একবার শুরু হলে যেন বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় না।চুল পাতলা বা পড়ে টাক মাথা যেমন সৌন্দর্য কমে তেমনি শারীরিক সমস্যার লক্ষণ বুঝা যায়।তবে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বাজার হতে নিম্নমানের কেমিক্যালযুক্ত ওষুধ চুল পড়া বন্ধ করার চেয়ে ক্ষতি করে থাকে বেশি।তাই আজ আমরা আলোচনা করবো কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে আপনি সহজেই আপনার চুল পড়া বন্ধ করবেন।
তাহলে আজ আমরা জেনে নিই কিভাবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে টাক মাথায় নতুন করে চুল গজানোর উপায়বলী।
১. পেঁয়াজ রস ব্যবহারঃ– টাক মাথার চুল গজানো সাধারনত একটি প্রাথমিক চিকিৎসা।পেঁয়াজের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে সালফার।যেটা চুল গজানোর জন্য খুবই উপযোগী।এটি খুব ভালো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট হিসেবে ভালো কাজ করে। মাথার রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
একটি পেয়াজ ও কিছু পরিষ্কার পানি নিন।পেঁয়াজটা একটু হালকা সেচে নিন তারপর এটিকে ভালো ভাবে চিপে নিন রস বের করে নিন।সাথে কিছুটা পরিমাণ পানি মেশান।এটি চুল উঠা স্থানগুলোতে ম্যাসাজ করে লাগান। এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।তারপর মাথার শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে ২/৩ দিন নিয়মিত লাগান।কয়েকদিন পর লক্ষ করবেন আপনার টাক মাথার ছোট ছোট চুল গজাবে। একই পন্ধতিতে আলুর রসও ব্যবহার করতে পারেন।এই সহজ ঘরোয়া পন্ধতি আপনার টাক মাথার নতুন করে চুল গজাতে খুবই উপযোগী।
২.কেশুতি পাতাঃ-রাস্তায় ধারে আনাচে-কানাচে পরিতাক্ত অবস্থায় জন্মানো কেশুনি পাতা টাক মাথার চুল গজাতে খুবই কার্যকরী।কেশুনি পাতার রয়েছে আপনার মাথা ভর্তি কালো চুল দেওয়ার ক্ষমতা।কিছু কেশুতি পাতা তুলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। রোদে শুকিয়ে নিন।এগুলো ২/৩ দিন কড়া রোদে শুকানোর পর হাতে চাপ নিয়ে ভালোভাবে গুড়ো করে নিয়েেএকটি কৌটোতে রেখে দিন। এক কাপ পরিমাণ নারিকেল তেল ভালো করে গরম করে নিয়ে তাতে এক চামচ পরিমাণ কেশুতি পাতার গুড়ো ভালো মিশিয়ে আবার গরম করে নিন।হারকা ঠান্ডা হলে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিন।এতে আপনার মাথার চুল ঘন ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
৩.খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারঃ– চুলের যত্বে নারকের তের খুবই কার্যকরী। এ তেল ব্যবহারের ফলে চুল প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পায়।এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা নতুন চুল গজাতে ও চুল কালো, লম্বা ও ঝলমলে করে তুলে।
৪..ভিাটামিন যুক্ত খাবারঃ– পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।শরীরের যদি নিদিষ্ট ভিটামিন না পায সেক্ষেত্রে চুলও ভিটামিন পায় না।চুলের জন্য সবচেযে বেমি প্রয়োজনী ভিটামিন-এ ,ভিটামি-সি,ভিটামিন-ডি বায়োটিক,জিষ্ক ও আয়রন। সুষম খাদ্য নিয়ামিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এতে যেমন চুল পড়া বন্ধ হবে তেমনি নতুন চুলও গজাবে।
পাঠক, উপরুক্ত ঘরোয়া পন্ধতি গুলো ব্যবহার করে আপনার টাক মাথার নতুন চুল গজানোর এবং চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন।ধন্যবাদ।