হতাশা কমায় যেসব খাবার

বর্তমানে হতাশা বা ডিপ্রেশন মারাত্মক একটি সমস্যা । হতাশায় আক্রান্ত ব্যক্তির সবসময় দুঃখ, ক্রোধ ও হতাশার অনুভূতি হতেই থাকে, যা তাদের প্রতিদিনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায় । ফলে ধীরে ধীরে রোগী শারীরিক অসুস্থতার দিকে ধাবিত হতে থাকে ।

এদিকে হতাশার কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে আত্মহত্যার সংখ্যা । ১৫- ২৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় । তবে খুশির খবর হলো কিছু খাবার আছে, যেগুলো হতাশা কমাতে সাহায্য করে । চলুন জেনে নিই সেসব খাবার সম্পর্কে –

দুধ দুধ একটি সুষম খাবার । এটি ভিটামিন ডি- র খুব ভালো উৎস । কারো শরীরে এই পুষ্টির মাত্রা কম থাকলে, তা ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে । একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন, তারা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করা মানুষের চেয়ে কম হতাশাগ্রস্ত হন । তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ রাখুন । এটি হতাশা কমাতে সাহায্য করবে

গাজর গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন । এই উপাদানটি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে । এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, পালংশাকও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ । এই খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন ।

সবুজ শাকসবজি সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে । এগুলো গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়, যা ডিপ্রেশন দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

টার্কি মুরগি টার্কি মুরগিতে আছে প্রোটিন বিল্ডিং ব্লক ট্রিপ্টোফ্যান, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে । সেরোটোনিন মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি হতাশা দূর করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে । এই সেরোটনিনের জন্য অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দেয়া হয়, যা সহজেই টার্কি মুরগিতে পাওয়া যায় ।

ব্রাজিল নাটস বিশেষ এই বাদামে রয়েছে সেলেনিয়াম নামক উপাদান, যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে মুক্তি দেয় ।

গবেষণা অনুযায়ী, সেলেনিয়ামের মাত্রা কমে গেলে ডিপ্রেশন বাড়ে । তাই হতাশা থেকে দূরে থাকতে এই বাদামটি খেতে পারেন । আমাদের দেশে ব্রাজিল নাটস খুব একটা পরিচিত নয় । সে ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কাজুবাদাম । এতে আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ।

অন্যদিকে, কাঠবাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো এসিড, যা মস্তিষ্কে ডোপামিন উৎপাদন করে । ডোপামিন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এ ছাড়াও লাল চাল, সূর্যমুখী বীজ এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার সেলেনিয়ামের ভালো উৎস ।

স্যামন মাছ স্যামন মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট । এটি ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে কাজ করে । পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মধ্যে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একটি, যা মানুষের মেজাজে প্রভাব ফেলে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে । স্যামন মাছ ওমেগা-৩-এর ভালো উৎস ।

কফি কফিতে থাকা ক্যাফেইন গ্রহণে অনেক সময় হতাশার অনুভূতি কমে । কিন্তু প্রসব- পরবর্তী বিষণ্নতা এবং মানসিক রোগীরা এটি এড়িয়ে চলাই ভালো । কেননা, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে ।