Breaking News

তুলসি পাতার যত উপকারিতা , জানলে আপনিও অবাক হবেন

প্রিয় পাঠক তুলসি পাতা অত্যন্ত উপকারী ও বহু ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ পাতা বা গাছ। এই পাতা নানাবিধ রোগের ভেষজ পাতা হিসেবে ব্যবহার আসছে প্রাচীন কাল হতেই।কিন্তু তুলসিপাতা খেলে বড় উপকার পাওয়া সেকথা অনেকেরই অজানা।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব তুলসি পাতার নানা উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম।

তুলসি গাছের পাতা, বীজ,বাকল, শেকড় গাছের সব কিছুই অতি প্রয়োজনীয় ভেষজ উদ্ভিদ।এটি শরীরের নানাবিধ রোগ সারাতে কাজ করে।তুলসি পাতায় অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট উপাদানে আছে।মানবদেহের ভয়ংকর কিছু রোগ যেমন, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস হৃদরোগ সহ ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।এটি হাজার গুণে ভয়পুর বলেই হাজার বছর ধরে এটি মানূষ ব্যবহার করে আসছে।

 

তুলসি পাতায় যত অজানা উপকারিতাঃ-

তুলসি গাছ আমাদের সবারই কম বেশি চেনা।তুলসি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ocimum tenuiflorum, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এটি পবিত্রতার প্রতীক।তাই তারা এটিকে হলি বেসিরও মনে করে। তুলসি পাতা বিভিন্ন রোগ নিয়াময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তুলসী পাতা নিয়মিত সেবন করলে শরীর সুস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।এবার জেনে নেই তুৃলসী পাতার নানা উপকারিতা।

১/রোগ নিয়াময় ক্ষমতাঃ- তুলসি পাতার অনেক ঔষধি গুনাগুণ আছে। তুলসি পাতা নার্ভ টনিক ও স্মৃতিশক্তি বৃন্ধিতে কাজ করে।এটচা শ্বাস নালী থেকে সর্দি-কাশী দূর করে থাকে।তুলসী পাতায় শরীরের ক্ষত সাড়ানোর ক্ষমতা আছে।এছাড়াও তুলসী পাতা পাকস্তালীর হজম ক্ষমতা বৃন্ধি করে থাকে।

 

২/ ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ- বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার এক মরণব্যধি অসুখের নাম।তুলসি পাতা এই অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে।এই পাতায় আছে রেডিওপ্রটেটিভ উপাদান যা টিউমারের কোষগুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এতে আছে ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। অগ্নাশয় যে টিউমার কোষ দেখা দেয় তা নিয়াময় করতে তুলসী পাতা দারুন উপকারী।এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার দূরে রাখে।

৩/ জ্বর ভালো করেঃ-তুলসি পাতা জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এটিতে ছত্রাক নাশক, ব্যাক্টোরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে।তাই এটি তাই এটি জ্বর ভালো করতে সাহায্য করে।সাধারণ জ্বর হতে ম্যালেরিয়ার পযর্ন্ত ভালো করার ক্ষমতা আছে তুলসি পাতার।আধা কেজি পানিতে কিছু তুলসী ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। যখন দেখবেন পানির পরিমাণ অর্ধেক হবে তখন নামিয়ে ফেলুন। এতপর মিশ্রণটির তে চিনি ও দুধ ২/৩ ঘন্টা পর পর পান করুন। এটি শিশুদের জন্য অধিকতর কার্যকারী।

তুলসি পাতার উপকারিতা : 

৪/ ওজন কমায়ঃ- তুলসি পাতা কেলে রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোর রোধ করতে সাহায্য করে।এটির ফলে খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।এক গবেষণার দেখা যায় তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি ২৫০ মিঃগ্রাম ক্যাপসুল প্রতিদিন খেলে ওবেসিটি ও লিপিন নিয়ন্ত্রণ করে।

৫/ গলার ব্যথা দূর করেঃ- বর্তমানে অনেকেই গলা ব্যথার ভোগে থাকে। গলার ব্যথা দূর করতে তুলসি পাতা খেতে পারেন।কয়েকটি তুলসিপাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি মুখে নিয়ে গার্গল করলে দূতই ব্যথা দূর হয়।এছাড়াও শ্বাসকষ্ঠের সমস্যা কমাতেও তুলসী পাতা খুবই কার্যকারী।

 

৬/ কিডনির পাথর দূর করেঃ- রক্তের ইউরিক এসিড এ লেভেলকে কমতে সাহায্য করে করে কিডনিকে পরিস্কার করে তুলসি পাতা।তুলসি পাতায় থাকা অ্যাসোটিক এসিড উপাদান গুলো কিডনির বাসা বাধা পাথর গুলো ভাম্গতে সাহায়্য করে সাথে ব্যথা কমায়।প্রতিদিন তুলসি পাতায় রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কিডনির পাথর দূর হয়ে যাবে।

৭/ শিশুদের রোগ নিয়াময় করেঃ- শিশুদের বিভিন্ন অসুখ য়েমন জ্বর, ঠান্ডা, বমি ইত্যাদি ভালো করে তুলসি পাতার রস।এছাড়াও শিশুদের শরীরের চিকেন পক্সের দাগ দূর করতে তুলসী পাতা ভলো কাজ করে।তুলসি পাতায়রসের সাথে জাফরান মিশিয়ে করলে সহজেই দাগ দূর হবে।

৮/ মাথা ব্যথা ভালো করেঃ- তুলসি পাতা মাথা ব্যথা দূর করতে খুবই কাজে আসে। এতে চন্দনের পেস্টরের সাথে তুলসী পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগিয়ে রাখলে সহজেই মাথা ব্যথা দূর হবে।

 

উল্লেখ’ যাদের নিম্ন রক্তচাপ আছে তাদের তুলসি পাতা না খাওয়াই উত্তম।কারণ তুলসি পাতার প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম থাকে।ফলে এতে কমে যায় রক্তচাপ। তাই যাদের নিম্ন রক্তচাপ আছে তাদের ডাক্তারে পরার্মশ নিয়ে তুলসি পাতা সেবন করা ভালো।

বাসার ছাদে বা বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি তুলসি গাছ লাগাতেই পারেন এসব ভেষজ সুবিধা পেতে।