হলুদের উপকারিতা : প্রিয় পাঠক, হলুদ আমরা সবাই চিনি। হলুন সাধারনত মশলা হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি গাছের শিকড় থেকে প্রাপ্ত এক ধরণে মশলা ও ভেষজ জাতীয় উপাদান। প্রাচীন কাল থেকেই এই হলুদ ইউনানি আয়ুর্বেদ ও কবিরাজি চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারি। হলুদ ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ হওয়ার এর এক ধরনের আরোগ্যশক্তি রয়েছে।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব ভেষজ গুণ সমৃন্ধ হলুদের বহু ব্যবহার ও এর উপকারিতা।
রান্নায় হলুদের বিকল্প নেই তেমনি হলুদে রযেছে নানা ঔষধিগুণ। এই হলুদ রান্না ছাড়াও বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থোকে। হলুদের বৈজ্ঞানিক নাম কারকুমা লঙ্গা। হলুদে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন- বি, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। হলুদ দিয়েই শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ে বহুমাত্রিক ব্যবহার করা সম্ভব। সাধারণত কাঁচা হলুদ সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু কাঁচা হলুদ বেটে পেষ্ট তৈরি করে রান্নার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হলুদের রস ক্ষত তারাতারি সারতে কাজ করে। এছাড়াও হলুদ .লবণ ও চুন মিশ্রণ শররের যেকোনো ব্যথা ও্র ফোলা দূর করতে সহয়তা করে। এটি শরীরের যেকোনো পরজীবি সংক্রমন দূর করে থাকে।
হলুদের ব্যবহার ও উপকারিতা
ক্যান্সার প্রতিরোধ হলুদঃ
হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান যা ক্যান্সার চিকিৎসার একটি খুবই উপকারি ঔষুধ। এটি ক্যান্সারজনিত কোষগুলো নষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও শরীরের টিউমারগুলিতে নতুন রক্তনালী বৃদ্ধি করে সাতে ক্যান্সার বিস্তার রোদ করে থাকে।
ত্বক উজ্জ্বল করে হলুদঃ-
হলুদ গায়ের রঙ বা মুধের রঙ উজ্জ্বল্যে করে থাকে। মুখের ত্বক উজ্জ্বল ও আরও কোমল করতে কাঁচা হলুদ ও মসুর ডাল একসাথে পেষ্ট করে সেটি দুধের সাথে মিশ্রণ করে মুখে ও হাতে লাগাতে পারেন। এটি ২ ঘন্টার মত রেখে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি নিয়মকরে এক মাস ব্যবহার করলে অনেক পরিবর্তন হবে। কাঁচা হলুদ, কমলালেবুর গুড়া, নিমপাতা্িকেসাতে মিশিয়ে বেটে মিশ্রণ করে পেষ্ট আকারে তৈরি মুখে ও হাতে লাগিয়ে রাখুন এবং এক ঘন্টা পর তা পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩/৪ দিন ধরে ব্যবহার করলে অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে। সাথে চর্ম রোগও নিয়ন্ত্রণ করবে হলুদ পেষ্ট।
ব্রণ নিরাময়ে হলুদ ও নিমপাতা মিশ্রণঃ-
নিমপাতা ও হলুদ মিশ্রণ ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। কয়েকটি নিমপাতার সাতে কিছু হলুেদের গুড়া মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুৃখে ভালো ভাবে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুৃখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে হবে। এটি ব্যবহারে মুখের ব্রণ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২ টুকরো কাঁচা হলুদ ও ২ টা নিমপাতা চিনির সাতে মিশিয়ে খেলে ব্রণ সেরে যাবে সাথে দেহের রঙ উজ্জ্বল ও কোমল করে তুলবে।
পাঠক,পেটের ক্রিমিতে, প্রমেহ রোগে, শরীরের দাগ উঠাতে, স্বর ভঙে বা গলা ধরে গেলে , মচকে গেলে, গলা ধরে গেলে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অ
সাবধানতা :
লিভারে যাদের সমস্যা আছে বা লিভারের রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হলুদ খাবেন। বেশি হলুদ গ্রহণ তাদের জন্য ক্ষতিকর। ল্যাক্টোস ইনটলারেন্ট হলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে দুধ বাদ দিয়ে মধু, সয়া দুধ অথবা শুধু হলুদ অল্প পরিমাণে খাওয়া যাবে। দুরারোগ্য কোনো লিভারের অসুখ হলে হলুদ যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ত্বকে সহ্য না হলে হলুদের ব্যবহার বাদ দিন। একাধারে দীর্ঘদিন কাঁচা হলুদ না খেয়ে মাঝে মধ্যে বিরতি দিতে হবে। পরিমাণমতো হলুদ খেতে হবে। অতিরিক্ত হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।