প্রিয় পাঠক, দাঁত একজন মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাঁত মানুষের সৌন্দর্য বহন করে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে যখন দাঁতের ব্যথা শুরু হয় তখনই বুঝা যায় দাঁত মানব শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ব্যথা যেমন যন্ত্রণাদায়ক তেমনি দাঁতের চিকিৎসাও কষ্টদায়ক। দাঁতের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হতে পারে। এটি অনেক সময় এক জন মানুষের সহ্যের সিমা অতিক্রম করে থাকে।আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব কিভাবে দােঁতের কষ্টদায়ক চিকিৎসা বাদ দিয়ে বাসাতেই কিছু ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের ব্যতা কমানো ও দাঁতের ব্যথা দুর করা।
মানব শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মাঝে মুখের গুরুত্ব অগ্রগণ্য। দাত পরিষ্কার বা সুস্থ্য না থাকলে এটি কাবার গ্রহণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। সঠিকভাবে মুখ ও দাঁত পরিস্কার না রাখায় মুখের ভেতর ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তাই দাঁত ও মুখ সুস্থ্য অবশ্যই মুখ সঠিক নিয়মের পরিষ্কার রাখেতে হবে।
প্রচলিত আছে যে দাঁত থাকতে কেও দাঁতের মর্ম বুঝে না। এটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে যখন দাঁতের পোঁকা বা দাঁতের ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন ধরে সঠিক পরিচর্চার অভাবে দাঁতে ব্যথা, মুখে দুর্গন্ধ, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ও সহজেই দাঁত পড়ে বা ভেঙ্গে মত সমস্যায় দেখা দিয়ে থাকে। প্রচন্ড দাঁতের যন্ত্রণা ও ব্যথার যেন প্রাণ যাই যাই উপায় হয়ে যায়। ব্যথার ফলে খাওয়া তও দূরে কথা সারা শরীর জুড়েই ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। দাঁতের ব্যথা সমস্যার দূর করতে দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। কিন্তু তার আগে দাঁতের ব্যথা দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনেক সময় কিছু ঘরোয়া উপায়ের দাঁতের যত্ন নিলে দাঁতের সমস্যা গুলো দূর করা যায়।
দাঁতের ক্ষয়রোগ বা দাঁতের ব্যথা হওয়ার কারণ…..
দাঁতের ক্ষয়রোগে অনেকেই ভোগে থাকেন। এটির কারণ হচ্ছে অ্যাসিটিক জাতীয় কোনো খাবার খাওয়া। এই ধরণে খাবার খেলে দাঁতের এনামেলে ক্ষয়রোগ ধীরে ধীরে শুরু হতে থাকে। এছাড়াও মুখ পরিষ্কার না রাখায় মুখের ভেতর জন্ম নেওয়া ব্যাকটেরিয়া দাতের ক্ষয়রোগ শুরু করে। সাধারণত দাঁতের তিনটি স্তর থাকে। এগুলো হচ্ছে এনামেল, ডেন্টিন ও পালফ। ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এইসব স্তরকে নষ্ট করে দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্ট করে থাকে। দাঁতের ব্যথার অনেক গুলো কারণ রয়েছে, দাঁতের গর্ত হয়ে যাওয়ার দাঁতে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও দাঁতের এনামেল ক্ষয়, দাঁতের গ্রাইন্ডিং, দাঁতের ফোড়া, দাঁতের ফাটল, দাঁত ভেঙ্গে যাওয়া, মাড়ি ফোলা ও রক্ত পড়ার কারণে দাঁতের ব্যথা হয়ে থাকে।
দাঁতের ব্যথার লক্ষণ সমূহ জেনে নিন
দাঁতের ব্যথার অনেক গুলো লক্ষণ দেখা যায়। তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে দাঁতে, মাড়িতে ও চোয়ালে তীব্রব্যথা করা, দাঁত আগলা বা ভেঙ্গে উঠে যাওয়া। মাড়ি ফুলে সেই মাড়ি হতে রক্ত পড়া. শরীরের জ্বর ব্যথা অনুভূত হওয়া সহ কান ও কন্ঠ নালীতে ব্যথা হওয়া।
দাঁতে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
১/লবঙ্গ দূর করে দাঁতের ব্যথা-
প্রাচীন কাল থেকেই দাঁত ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ ব্যবহার হয়ে আসছে। স্থায়ী ভাবে ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে পারেন। লবঙ্গ তেলে প্রচুর পরিমাণে ইউজেনল রয়েছে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে পরিচিত। কাটনবার বা তুলার সাথে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল লাগিয়ে দাঁতের আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। অবশ্যই লবঙ্গ তেলের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রিণটি পাতলা করে নিতে হবে। এছাড়াও এই মিশ্রিণটি পানির সাথে মিশিয়ে মুখে নিয়ে কুলি করতে পারেন। কয়েকটা লবঙ্গ মুখে নিয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে নিতে পারেন। এটিও আপনার দাঁতের ব্যথা দূর করতে সহয়তা করবে।
২/ রসুনের দূর হয় দাঁতের ব্যথাঃ-
দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য বহুকাল ধরে প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। রসুনে থাকা অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ বা ব্যথা কমিয়ে থাকে। রসুন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ব্যথা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। একটি রসুনের কোরা বা অংশ বা পেষ্ট করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। এই পেষ্টের সাথে পরিমাণ মত লবণ এড করে দিতে হবে।
৩/ লবণ পানি মিশ্রণ দাঁতের ব্যথা দূর করেঃ-
দাঁতের ব্যথা কিছুটা কমিয়ে আনতে লবণ পানি মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লবণাক্ত পানি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহ্রত হয়। এটি দাঁতের কোনার কোনার আটকে থাকা খাদ্যকণা বের করতে সহায়তা করে থাকে। এটি দাঁতের ব্যথা দূর করার পাশাশি মুখের ভেতর যেকোনো ক্ষত সরাতে সহয়তা করে থাকে। এক গ্লাস পানির সাথে লবণ মিশিয়ে গল গল কুলি করতে পারেন।
পাঠক, দাঁতের ব্যথা দূর করতে উপরিক্ত ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এটি সামরিক ব্যবস্থা মাত্র। অবশ্যই দাঁতের ব্যথা বেশি ও সা