শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ টেকনিক:
প্রিয় পাঠক,রাতে ভাল ঘুম হয না এমন সমস্যার অনেকেই ভোগে থাকি। ঘুম না আসার কারণে আমরা বিছানার এপাশ ওপাশ করে থাকি।ঘুম আসতে অনেক দেরি হয়।এটি একটি খুবই বিরক্ত কর ব্যপার। আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মাত্র ২ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়া যায় তার কিছু সহজ ও কার্যকারী টেকনিক।
আমরা অনেকেই নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের সমস্যা ভোগেন। দিনের বেলার কাজের সময় হাই তুলতে থাকি।কাজে মনোযোগী হতে কষ্ট হয, সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়,শরীর অবসাদ কাজ করে। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আমরা অনেক সময় ব্যয় করে থাকি।দীর্ঘ দিন এসব ব্যবহার করার ফলে প্রভাব পড়ে মনোজগতে যায় ফলস্রুতিতে আমাদের সময়মত ঘুম আসে না এর সমস্যা প্রকট ভাবে দেখা যায়। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ টেকনিক
অনেকেই ঘুম না আসলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকে, এতে করে প্রতিনিয়ত ঘুমের ওষুধের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মাদকের মত কাজ করতে থাকে। তাছাড়া শরীরে ইনসোমনিয়ার মত অসুখ বাসা বাধতে সাহয্য করে।এতে মানসিক অবসাদ,ডিপ্রেশন থেকে শুরু করে নানা রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই আমাদের ঘুমের ওষুদ পরিহার করাই উত্তম। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ টেকনিক
আমরা আজ ঘুম না আসার কারণ ও এর সমাধান বা চিকিৎসা নিযে আলোচনা করব।উল্লেখ করার হবে ঘুম না আসার কিছু কারণ তার চিকিৎসা।
ঘুমানোর টিপস/ঘুম না আসার কারণ ও সমাধানঃ-
রাতে ঠিকমত ঘুম না আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত চা,কফি বা নিকোটিন জাতীয় জিনিস পান করা।অনেকেই আমরা ভাবি সারাদিন কাজ করা কান্ত শরীরে এগুলো সেবন বা পান করলে মন মানসিকতার কিছু চাঙ্গা হওয়া যায়।আমরা এটি ভুল ভেবে থাকি। এটি আমাদের শররে সামরিক প্রশান্তি দিলেও রাত ঘুম না হওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া অতিরিক্ত এসব অভ্যাস আমাদের শরীরের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব বিস্তার করে। তাই আমাদের অভ্যাস গুলো পরিহার করতে হবে।
বিছানার ঘুমে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ যাবতীয় প্রযুক্তি দূরে রাখতে হবে।বিছানার কাছেই কোথাও জ্বালাতে পারেন সুগন্ধি যুক্ত মোমবাতি। এতে করে আপনার খুবই তারাতাড়ি ঘুম চলে আসবে।
ভালো ঘুমের জন্য নিয়ম করে দিনের শুরুতে ১৫ মিনিটের মত হালকা ব্যয়াম। কারণ এই ব্যয়াম আপনার শরীর ও মন সতেজ ও সক্রিয় করে তুলে ফলে রাতে ঠিকমত ঘুম আসতে সহযোগিতা করে।অবশ্যই মনে রাখবেন দিনের বেলা বিশেষ করে দুপুরে ঘুমানো এড়িযে চলুন। কারণ এটি আপনার রাতের ঘুমকে নষ্ট করে।
ঘুমানোর টিপস:
রাতে ঘুমানোর জন্য তুলনামূলক ঠান্ডা স্থান নির্বাচন করুন।ঘের ঠান্ডা বা ঘরে প্রযাপ্ত আলো বাতাস না থাকলে স্বাভাবিক কখনই হবে না।তাই ঘুমানোর জন্য ঠান্ডা উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।
প্রতিদিন কিছুটা সময় সূর্য়ের আলোর থাকায় চেষ্টা করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে রাত ও দিনের পার্থক্য বুঝতে সাহয্য করে ফলে রাতে বেলার সহজেই আপনার ঘুম চলে আসবে।
মাত্র ২ মিনিটে ঘুম আসার সুপার টেকনিকঃ- আজ আমরা আপনাদের এমন এক সেনাবাহিনীদের মর্থস শিখাব যায ফলে আপনি মাত্র ১২০ সেকেন্ডেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন, যেটা সেনাবাহিনীর সদস্যদের শিখানো হয়।কারণ তারা সারাদিন ব্যস্ততার মাঝ দিযে থাকে।তারা প্রযাপ্ত ঘুমানো বা বিশ্রামের সময় পায় না।তারা দূত ঘুমাতে একটা বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে।অবশ্যই এটি ৬ সপ্তাহ ধরে প্রাকটিস করতে হবে।তাহলে এই ধাপ হলো মাত্র ২ মিনিটে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
১/ প্রথমেই আপনার একদম সোজা হয়ে শুরে যেতে হবে।কোনো প্রকার ডানে বামে কাঁধ নিয়ে শুরে হবে না।
২/ কপাল ও মাথাকে রিল্যাক্স করে নিন।মাথার যত দুচিন্তা আছে সব ঝেড়ে ফেলে দিন।কপালের বাঝ দূর করুন।চোখ ও শরীরকে রিল্যাক্স করে নিন।কাঁধ টা আপনি রিল্যাক্স করে দিন।
৩/ এমন ভাবে শুবেন যাতে আপনি মনে করবেন আপনি একটি বিশাল সমুদ্রের মাঝ খানে একটা নৌকা নিয়ে একাই ভেসে আসেন এই কল্পনা ও অনুভব করার চেষ্টা করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার চোখ বন্ধ ও মাথা বারতী কোনো চিন্তা আনা যাবে না।
৪/ এর বড় বড় শ্বাস নিয়ে ২ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন।
৫/ এখন কল্পনা করুন আপনার পেট ও পা অবশ হয়ে আছে।এটাও কল্পনা করুন আপনি চাইলেও আপনি বিছানা হতে পা তুলতে পারছেন না।এটা আপনার মনকে বুঝান ও বিশ্বাস করুন। আপনার পুরো শরীর রিল্যাক্স করে দিতে হবে। আপনি আস্তে আস্তে মনে করবে প্রথমে মাথা তারপর চোখ,হাত,পেট পা এগুলো রিল্যাক্স করে দিন।মনে করবেন আপনার প্রচন্ড ঘুম আসছে এসব আপনাকে চিন্তা করতে হবে।এভাবে যদি আপনি মাত্র ২ মিনিট করতে পারেন তাহলে সহজেই আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন।
অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনি যদি পারেন গোসল করে নিবেন,সন্ধায় আগেই চা, কফি নিকোটিন জাতীয় খাবার গুলো গ্রহন করতে হবে।এতে আপনি দূত কার্যকরী ফলাফল পাবেন।ধন্যবাদ।