উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়, ১ দিনেই দূর হবে মাথার উকুন

উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় : উকুন হলো ক্ষুদ্র পরজীবী পোকা। উকুন একবার মাথার বাসা বাধলে তা দূর হতেই চায় না। এর যন্ত্রণায় অনেকেই ভোগেন। উকুন একটি বিরক্তিকর সমস্যা। এই উকুন সমস্যা থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব মাত্র একদিনের ভেরত তিন ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে সহজেই মাথার উকুন দূর করার যায়।

 

উকুন এক ধরনের পরজীবী পোকা। যা একবার কারও মাথার প্রবেশ করলে বাড়ীর সবারই মাথার এটি ছড়িয়ে যাবে। এই বিরক্তিকর পোকা একবার মাথার বাসা বাঁধলে দূর করা কঠিন হয়ে যায়। পুরুষের তুলনার নারীদের উকুন সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এটি শিশুদের ত্বকে সমস্যা হয়ে দাঁড়ার।উকুন নাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করে উকুন কিছুটা দূর হলেও এটিতে থাকা রাসায়নিক মাতার ত্বক ও চুলেন জন্য খুবই ক্ষতিকর।উকুনে উপদ্রব হতে স্থায়ী ভাবে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিতে কিছু উপায় যা ব্যবহার করে সহজেই মাথার উকুন দূর করা যাবে।

উকুন দূর করার তিনটি ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবঃ-

১/ওষুধ ব্যবহারঃ- আজ আমরা এমন একটি ওষুদের নাম বলবো যা একবার ব্যবহার কররেই মাথার থেকে উকুন দূর হয়ে যায়। বাজারের উকুন দূর করার জন্য অনেকগুলো ওষুধ পাওয়া যায়। কিছু ওষুন ডক্তিারের পরামর্শ ছাড়াই ব্যবহার করা য়ায়। এগুলোতে তেমন ক্যামিক্যাল রাসায়নিক থাকে না। এটির প্রসাধনী দোকানে ইভারমেকটিন লোশন ‍(Alice hf Licnil) নামে পাওয়া যায়।

এটির দাম সাধারণত ১৫০/২০০ টাকার মাঝে।এটি ১ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করার আগে চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। পরে নোশনটি চুলের গোড়া হতে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এমন ভাবে লাগাবেন যাতে সবগুলো চুল ও মাথার তালুতে ভালোভাবে লাগে।

খেয়াল রাখবেন যেন কোনো চুল বাদ না পড়ে। তারপর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।২৪ ঘন্টার আগে শ্যাম্পুবা সাবান ব্যবহার করবেন না। এটি ব্যবহারের ফলে উকুন ও তার ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এই ওষুধটি একবার লাগাইয়ে সাধারণত সব উকুন মারা যায়। এটি মাথার তুবক বা চুলের জন্য ক্ষতিকর নয় এটি নিয়াপদে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

২/ উকুন দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়ঃ– প্রাকৃতিক উপায়ে উকুন দূর করতে ২ সপ্তাহের মত সময় লাগে। এই সময়ের মাঝে ৪ বার চুল ভিজিয়ে চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে আড়ঁচিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন চুল আচঁড়ানোর সময় ৩ দিন গ্যাফ রাখবেন। তুলনা মূলক চিকন ঘন চিরুনি ব্যবহার করবেন। অবশ্যই ভেজা চুলে চুল আড়ঁচাতে হবে। এতে করে উকুনের সাথেও তার ডিমও নষ্ট হয়ে যাবে। প্রতিবার একবার আড়ঁচানোর পর চিরুনি পরিষ্কার করে নিবেন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ফলে মাথা হতে চিরতরে উকুন শেষ হয়ে যাবে।

 

৩/ ভেষজ উপায়ে উকুন দূর করাঃ-
প্রচলিত বিভিন্ন ভেষজ উপাদান ব্যবহার করে মাথার উকুন দূর করা যায়। তার কিছু নিচে আলোচনা করা হলোঃ-
*লেবুর রস ব্যবহার করে উকুন দুর করাঃ- লেবুর রস প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক, এটি চুলের উকুন দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস বের করে সেটি সরাসরি চুলে মাথার লাগান, ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর চিরুনির সাহায্যে চুল আড়ঁচান। সপ্তাহে দুবার করলে আপনাপর মাতার উকুন দূর হয়ে যাবে।

 

*নিম পাতাঃ- নিম পাতাতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাস, অ্যান্টি সেপ্টিক ও অ্যান্টি ফাঙ্গালের মত গুরুতাবপূর্ণ উপাদান বিদ্যামান। চুলে উকুনের সমস্যাটি খুবই বিরক্তিকর সাথে বিব্রতকর। উকুন মাথায় ত্বকে রক্ত শোষন করে বেঁচে থাকে ফলের মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনে সমস্যা দেখা দেয়।চুলের উকুন দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার করা হয়। আধা কাপ নারিকেল তেলের সাথে ২০ টির মত নিমপাতা ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। রোতে শুবার আগে ভালোভাবে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিতে হবে এবং সকালে শাম্পু করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।সপ্তাহে ২ দিন নিয়ম করে ব্যবহার কবলে

 

উকুনের সমস্যা দূর করতে আধা কাপ নারিকেল তেলে ১৫-২০টি নিম পাতা জ্বাল দিয়ে নিম তেল তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে নিম তেল মাথার ত্বকে ও চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যেতে হবে এবং পরদিন সকালে চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। প্রতি ২-৩ দিন পরপর এই নিয়মে নিম তেলের ব্যবহারে উকুন পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।

পাঠক, চুলের উকুন দূর করতে রসুনের রস,পেঁয়াজের রস,