একনি বা পিম্পল হলো বর্তমানের নিত্য নতুন সমস্যা। যা আমাদের সুন্দর ত্বকের প্রধান শত্রু। এই একনি দূর করতে অনেকে বিভিন্ন উপায় পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আবার অনেকে বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করেন ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা।
কিন্তু অনেকে চাই প্রসাধনীর মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করতে। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। প্রসাধনী মুখের ত্বকে আরো বিভিন্ন সমস্যা করে অনেক সময় এই সকল প্রসাধনীর ফলে একনি সমস্যা আরো বেড়ে যায়। তবে ঘরে বসে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেল এই পিম্পল সমস্যা দূর করা যায়।
আসুন জেনে নেই
অতি সহজ উপায়ে পিম্পল বা ব্রণ দূর করার উপায়
১। ব্রণ দূর করতে লেবুর রসঃ
লেবুর রস পিম্পল সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমরা সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে লেবুর রস বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি। লেবুর রসের বিভিন্ন ফেইস প্যাক ও আছে।
ব্যবহারঃ
এই ক্ষেত্রে আপনি একটি বাটিতে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস নিয়ে নিবেন, সেখানে একটি তুলার বলকে ভালোভাবে চুবিয়ে ঘুমানোর আগে যেখানে একনি আছে সেখানে সারারাত লাগিয়ে রাখবেন।
সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। লেবু এই কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
২। ব্রণ দূর করতে আদাঃ
আদাকে সাধারণত আমরা মশলা হিসেবে ব্যবহার করি। তবে এই আদা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। আদা দিয়ে পিম্পলের সমস্যা ও দূর করা যায়।
ব্যবহারঃ
প্রথমে আদাকে পাতলা করে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।
এরপরে যেখানে একনি আছে সেখানে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে আদা টুকরো দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৫ থেকে ১০ মিনিট কিছুক্ষণ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
৩। ব্রণ দূর করতে বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা ত্বকের যত্নে আরো বিশেষভাবে সাহায্য করে। বেকিং সোডা দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা হয়। একনির সমস্যা দূর করতে বেকিং সোডা ও কাজ করে। তাই এটিও ব্রণের দাগ দূর করার উপায়।
বেকিং সোডার একটি রেমিডি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারঃ
প্রথমেই এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিবেন সাথে পরিমাণ মতো পানি কিংবা লেবুর রস নিন।
এবার একসাথে মিশিয়ে যেখানে পিম্পল আছে তার উপরে লাগিয়ে নিন।
শুলিয়ে গেলে কিছুক্ষন পরে ধুয়ে নিন। দারুণ কাজ করবে।
৪। ব্রণের র্যাশ দূর করতে বরফঃ
পিম্পল হলে শুধু দাগ হয় না, সাথে লালচে দাগ ও হয় আর র্যাশ হয়। এক্ষেত্রে বলা হয় বার বার পানি দিয়ে মুখ দিতে। যেহেতু ঘন ঘন মুখ ধোয়া হয় না। তাই এক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারঃ
বরফের টুকরো নিয়ে তাকে ভালোভাবে তুলা দিয়ে পেঁচিয়ে যেখানে পিম্পল আছে তার উপর রেখে দিন।
যেখানে র্যাশ হয়েছে জায়গাটি আস্তে আস্তে শীতল হয়ে যাবে। র্যাশ এর জ্বালাপোড়া থেকে কমবে। এবং যে লালচে দাগ দেখা দিবে তাও ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৫। ব্রণ দূর করতে কমলার খোসাঃ
আমরা সাধারণত কমলা খেয়ে কমলার খোসাটা ফেলে দেই। কিন্তু এই কমলার খোসা পিম্পলের সমস্যা দূর করতে দারুণ কাজ করে।
ব্যবহারঃ
তাই কমলার খোসা না ফেলে দিয়ে কয়েকটি কমলার খোসা নিন। সেগুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
এরপরে অই ব্লেন্ড করা কমলার খোসার সাথে পানি মিশিয়ে পিম্পলের উপরে আধা ঘন্টার মতো রেখে দিন। এরপরে ঠান্ডা পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ফলাফল নিজেই দেখবেন।
৬। ব্রণ দূর করতে এলোভেরাঃ
এলোভেরা তো ত্বকের যত্নে সবার উপরে। এই এলোভেরা দিয়ে পিম্পল ও দূর করা যায়।
ব্যবহারঃ
এলোভেরা জেলকে ভালোভাবে নিয়ে পিম্পলের উপর রেখে দিন ২০ মিনিট পর্যন্ত। অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন।
এছাড়া এলোভেরা জেলকে ব্লেন্ড করে আইস কিউব বানিয়ে ও ব্যবহার করতে পারেন। পিম্পলের সমস্যায় দারুণ কাজে দিবে।
উপরের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে জানতে পারলাম বাসায় বসে অতি সহযে পিম্পল থেকে বাঁচতে কি কি করতে হবে তা নিয়ে। যেই উপকরণের কথা বলা হয়েছে তা সবই প্রাকৃতিক উপাদান আর সব হাতের কাছেই ঘরে পেয়ে যাবেন। তাই টাকা খরচ ও হবে না। আর যেহেতু প্রাকৃতিক তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও নেই।