ব্রণ আমাদের ত্বকের জন্য অভিশাপ স্বরূপ। দেশের আবহাওয়া, প্রাকৃতিক অবস্থান এবং আমাদের জিনগত কারণে আমরা অনেকেই ব্রণসমস্যায় জর্জরিত। অ্যলোভেরার ফেসমাস্ক
ত্বক থেকে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। নামি দামি অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি।তবে একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ব্রণের দাগ নিরাময়ে ব্যবহৃত প্রায় সব ধরনের উন্নত মানের প্রসাধনীতে রয়েছে এলোভেরা জেল এর অস্তিত্ব।
তাই আমরা আমাদের আলোচনায় এলোভেরা জেল দিয়ে কিভাবে ঘরে বসেই ফেইসমাস্ক তৈরি করবেন এবং ব্রণের দাগ দূর করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করছি
ব্রণের দাগ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী কিছু এলোভেরার ফেসমাস্ক।
★★এলোভেরার ফেসমাস্ক তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানসমূহঃ
* অ্যালোভেরার রস।
* ভিটামিন E।
* কাঁচা হলুদের গুঁড়ো।
* শসার রস।
* লেবু বা টমেটোর রস।
* তুলসী পাতার রস।
* বাদামের গুঁড়ো।
* গোলাপজল।
* অপরিশোধিত মধু।
* দুধ।
নিম্নলিখিত অ্যালোভেরার ফেসমাস্ক গুলি ব্রণের দাগ দূরীকরণে অত্যন্ত উপকারীঃ
মিশ্রণ ১ঃ
অ্যালোভেরা মধু এবং ভিটামিন ইঃ
2 চা চামচ অ্যালোভেরা 1 চা চামচ মধু এবং। তিন থেকে চার ফোঁটা ভিটামিন-ই একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
মিশ্রণ ২ঃ
এলোভেরা দুধ এবং কাঁচা হলুদঃ
ব্রণের দাগ দূর করতে এলোভেরা ফেস মাস্ক টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
2 চা চামচ অ্যালোভেরার জেল
2 থেকে 3 চিমটি হলুদ এবং
দুই চা চামচ দুধ
কোন একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
মিশ্রণ ৩ঃ
অ্যালোভেরা এবং শসার রসঃ
এলোভেরা এবং শসার রসে বিদ্যমান উপাদান ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বকের লোমকূপ সতেজ করে তোলে এবং ব্রণের দাগ দূর করে।।
2 চা চামচ অ্যালোভেরার জেল এবং একটা চামচ শশার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে কার্যকরি ফেস মাস্ক টি তৈরি করে ফেলতে পারেন।
মিশ্রণ ৪ঃ
অ্যালোভেরা এবং লেবু বা টমেটোর রসঃ
2 চা চামচ অ্যালোভেরার রস এর সাথে তিন থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস অথবা একচা চামচ টমেটোর রস ভালোভাবে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। যাদের ত্বক অত্যন্ত সেনসিটিভ তারা লেবুর রস এর পরিবর্তে টমেটোর রস ব্যবহার করুন।
মিশ্রণ ৫ঃ
অ্যালোভেরা,গোলাপজল এবং বাদামের গুঁড়োঃ
2 চা চামচ অ্যালোভেরার রস 1 চা চামচ গোলাপজল এবং একটা চামচ বাদাম এর গ্রুপ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করুন। অ্যালোভেরার জেলে তৈরি এই ফেস মাস্ক টি ব্রণ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
★★ব্রণের দাগ নিরাময়ে এলোভেরার ফেস মাস্ক ব্যবহারের নিয়মঃ
* মাস্ক ব্যবহারের পূর্বে প্রথমেই আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
* কোমল বা নরম জাতীয় কিছু যেমন তুলা অথবা মুখের ব্রাশের সাহায্যে মাস্ক গুলো মুখে লাগিয়ে ধীরে ধীরে কিছু সময় ধরে মালিশ করোন।
* অ্যালোভেরার মাস্ক শুকিয়ে যাওয়ার জন্য 15 থেকে 20 মিনিট সময় দিন।
সমস্যায় জর্জরিত।
* সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে গেলে অ্যালোভেরার মাস্কটি ধুয়ে ফেলুন।
* খুব বেশি ঠান্ডা বা খুব বেশি গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন না।
* ভালো ফলাফল পেতে চাইলে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন।
অ্যলোভেরার ফেসমাস্ক
* এলোভেরা ফেস মাস্ক মুখে মানুষের সময় অতিরিক্ত চাপ দিবেন না।
* অ্যালোভেরার মাস্ক লাগিয়ে রোদে যাবেন না।
★★ ব্রণের দাগ দূর করতে কেন এলোভেরা ফেস মাস্ক গুলো ব্যবহার করবেনঃ
★ অ্যালোভেরার মাছকে রয়েছে ভিটামিন এ,বি,বি১ ইত্যাদি। যা ত্বকের জন্য এবং ব্রণের দাগ দূরীকরণে অত্যন্ত কার্যকরী।
★ এলোভেরা ফেস মাস্ক ত্বকের লালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
★অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর মাস্কে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে পারে।
★ অ্যালোভেরা এবং মধুর মিশ্রন তৈরী ফেসপ্যাকটি প্রাকৃতিকভাবেই মুখের উজ্জলতা ফিরিয়ে এনে ব্রণের দাগ দূর করে।
★ এলোভেরা ফেস মাস্ক এ ব্যবহৃত ভিটামিন ই এবং বাদামের গুঁড়ো ত্বকে শক্তি যোগায় এবং ত্বকের ওপরে বিদ্যমান দাগ দূর করে।
★ কাঁচা হলুদ এবং দুধ ত্বক কে করে উজ্জ্বল এবং ত্বক থেকে সব ধরনের দাগসহ ব্রণের দাগ নিরাময় করে।
★টমেটো এবং শসার রস ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করে।
★ব্রণের দাগ দূরীকরণে তৈরিকৃত এলোভেরার ফেস মাস্ক সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হাওয়াতে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
***তবে আপনার ত্বকে যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে সরাসরি এলোভেরার ফেসমাস্ক মুখে না লাগিয়ে অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করে দেখুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
অ্যালোভেরার তৈরি ব্রণের দাগ দূরীকরণে ফেস মাস্ক ব্যবহারের সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কিত কলামটি পড়ুন।
অ্যলোভেরার ফেসমাস্ক
ব্রণের জেদি দাগ দূর করার জন্য অনেকেই অসংখ্য উপায় অবলম্বন করেছেন।কিন্তু কোনরূপ সুফল পাননি।তাই আপনাদের দাগহীন ত্বকের জন্য আমাদের এই অ্যালোভেরার ফেসমাস্ক গুলো তৈরি করা। যা ব্রণের দাগ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।
অ্যালোভেরার তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন নিজেদের ত্বকের যত্ন নিন।