ফর্সা হওয়ার উপায়: প্রিয় পাঠক, কম সময়ের মাঝে কে না ফর্সা হতে চায়? খুব দ্রুত সময়ের ফর্সা হওয়ার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে থাকে। অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরি করে ব্যবহার করে থাকে। ত্বক ফর্সা করার জন্য তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্করা ব্যবহার করেন নানা রকম প্রসাধনী।আমাদের নিয়মিত আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা করব দ্রুত সময়ের মাঝে সুন্দর ও ফর্সা হওয়ার জন্য কিছু টিপস্।
বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বা প্রসাধনী পাওয়া যায়। এসব ক্রিম ব্যবহারের ফলে খুব কম সময়ের মাঝে ত্বক ফর্সা হয়ে যায়।আর ক্রেতারা চোখ বন্ধ করে কিনে নিচ্ছেন। অথচ জানতে পারছেন না যে এসব ক্রিমে মেশানো আছে ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পদার্থ, যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এসব ক্রিম মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ও এগুলো ব্যবহারে ফলে ক্যান্সার পযর্ন্ত হতে পারে। অবশ্যই মনে রাখবেন ফর্সা হওয়ার প্রথম কথা হলোও আমাদের জন্মগত কিছু জেনেটিক্যাল বৈশিষ্ট্য থাকার ফলে সেগুলোকে কোনভাবেই ওভারকাম করতে পারা যাবে না।মানুষের শরীরের কিছু অংশ বা ত্বক আছে যা কোনো ভাবেই ফর্সা করা সম্ভব হয় না। ফর্সা হওয়ার জন্য ত্বক স্বাস্থ্যবান ও উজ্জল হওয়ার দরকার। আমরা উজ্জ্বল বলতেই ফর্সা রঙ কে বলে থাকি।
দ্রুত ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে যা করবেন
১/ ত্বকের ধরন বুৃঝে ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে হবেঃ-
একেক জনের ত্বক একেক রকম হয়ে থাকে সাধারনত । তাই সকলেরর জন্য একই রকম রুপচর্চা ব্যবহার করার উচিত নয়। ত্বক বুঝে ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে হবে। দ্রুত সুন্দর হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিশ্রিণ ব্যবহার করতে পারবেন। চন্দন,মধু, হলুদ,দুধ, দই ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আলাদা আলাদা ভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হবে কোনটা আপনার জন্য স্যুট করে। অবশ্যই সবগুলো একসাথে ব্যবহার করবেন না এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
২/মধু ,লেবুর রস ও হলুদ মিশ্রণঃ-
খুব কম সময়ের মাঝে ত্বককে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করার জন্য এই মিশ্রণ খুবই কার্যকারি। ১ চামচ লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ মধু নিয়ে তার সাথে ২ চামচ হলুদের গুড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড়, গলার নিচে ও হাতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিটের মত রেখে শিুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশ্রণটি দেওয়া অংশ টুকু ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুখের দাগ দূর করে দ্রুত সময়ের মাঝে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।
৩/ শসা ও অলিভ অয়েল মিশ্রণঃ-
অলিভ অয়েল ও শসা ত্বক উজ্জ্বল করতে সহ্যয়তা করে থাকে। এই মিশ্রণটি তৈরি করে মুখ, হাত ও গলার লাগিয়ে ৩০ মিনিটের মত রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে নিন। এটি নিয়ম করে ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে আপনার শরীরের ত্বক অনেক অংশেই উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
৪/ ত্বক ফর্সা করতে গোলাপ জলের ব্যবহারঃ-
দ্রুত সময়ের মাঝে ত্বক ফর্সা ও সুন্দর করতে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি উজ্জ্বল ত্বক পেতে সহয়তা করে থাকবে। প্রতিদিন সকালে বা বাইরে থেকে বাসার এসে এই গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এটি ত্বকে লেগে থাকা ময়লাকে দূর করে ত্বককে কোমল ও আকর্ষণীয় করে তুলে। তাই দিনে দুইবার গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
৫/ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে ফর্সা অ্যালোভেরাঃ
শরীর বা মুখে ছোট ছোট কাটা- পোড়ার দাগ, অ্যালার্জি সহ ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার জুড়ি নাই। অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।এটি সরাসরি পাতা থেকে সংগ্রহ করা যায়। অ্যালোভেরা জেলের সাতে মধু, দুধ, হলুদ,মিশিয়ে মুখের লাগিয়ে রাখলে মুখের ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়ে যায়।
পাঠক, ত্বককে সুন্দর করতে বিভিন্ন ফেইস প্যাক ব্যবহার করতে পারবেন। বাজার থেকে নিন্মমানের কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম কিনে ত্বক উজ্জ্বল করার চেয়ে না করাই ভালো, এগুলো ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তা্