ব্রণ আজকাল একটি নিয়মিত সমস্যা। ছেলে মেয়ে কম বেশি সকলের এই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ছেলে এবং মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তন কিংবা একটি নির্দিষ্ট বয়স থেকে এই ব্রণ দেখা দেয় মুখের ত্বকে। এই ব্রণ ব্রণ থেকে দাগ এগুলা এখন নিত্যদিনের সমস্যার মতো হয়ে গেছে। ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি
তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই ব্রণ উঠা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু ব্রণ এর জ্বালাপোড়া, লাল দাগ, র্যাশ হওয়া ইত্যাদি খুব বিরক্ত করে রাখে। এর ফলে অনেকে বিভিন্ন ঔষধ ও ব্যবহার করে থাকেন। অনেক ক্রিম ও ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু দেখা যায় এগুলা একসময় ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়।
তবে এই সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বকের যত্ন নিলে এই সমস্যা গুলো ঘরে বসে সমাধান পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই
ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়ঃ
১। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে ডিমঃ
ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে ডিমের সাদা অংশ ধারুণ কাজ করে।
ব্যবহারঃ
রাতে শোয়ার আগে আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্রণের আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করতে পারেন। ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিতে পারেন।
এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব ও দূর করে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি এই ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস যোগ করা নিন।
এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগিয়ে নিন। এর আধ ঘণ্টা পর আপনি ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করুন। ফলাফক পেয়ে যাবেন।
২। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে পেঁপের স্ক্রাবিংঃ
আমাদের মুখের ত্বকে ব্রণ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো আমাদের অপরিষ্কার ত্বক। সারাদিন বাইরের ধূলাবালি, মেকাপ, তৈলাক্ত খাবার এগুলোতে আমাদের মুখের ত্বক অপরিষ্কার হয়ে যায়। তাই ত্বক রাখতে হবে সবসময় পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহারঃ
এক্ষেত্রে পাকা পেঁপে ব্যবহার করুন। পাকা পেঁপে ভালোভাবে চটকে নিন এক কাপ পরিমাণ নিয়ে নিন, এবার এর সাথে ১টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস নিয়ে নিন এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেখানে চালের গুঁড়ো দয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
২০-২৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাসাজ করে এবার গোসল করে ফেলুন। এছাড়া ও আপনি পেঁপে ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস। এগুলা আপনার ব্রণ হওয়া থেকে বাঁচায়।
৩। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে মুলতানি মাটিঃ
রূপচর্চায় আমরা মুলতানি মাটির ব্যবহার দেখেছি। সাধারণত যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা বেশির ভাগেই এই মুলতানি মাটি ব্যবহার করেন।
এই মুলতানি মাটি বেশির ভাগ তেল শোষন করে এবং লোমকূপ গুলো খুলে দেয় আর তা পরিষ্কার রাখে। ফলে ত্বক ও পরিষ্কার থাকে। ত্বক যখন অতিরিক্ত তেলতেলে হয় তখন ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
ব্যবহারঃ
ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে মুখে মুলতানি মাটি আর দুধ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগাতে পারেন। অনেকে রাতে শোয়ার আগে এই কাজ করে থাকেন। এতে মুখ অনেক টান টান আর ফ্রেশ থাকে।
৪। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে আইস কিউবঃ
আমরা জানি শশার রস মুখের ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে দারুণ কাজ করে। আমরা সাধারণত বাইরে বেশির ভাগ সময় কাজে ব্যস্ত থাকি। এক্ষেত্রে মুখ ভালোভাবে ধোয়া যায় না আর যত্ন নেয়া যায় না।
ব্যবহারঃ
এক্ষেত্রে আপনি শশার রস দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া শশার রসকে আইস কিউবে নিয়ে রেখে দিন। তারপর যেকোনো সময় মুখে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার ত্বকের পুষ্টিগুণ থাকবে আর এতে ওপেন পোরসের সমস্যা সমাধান হবে।
৫। ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে শশার রসঃ
শশার রস কে যেমন সহযে ম্যাসাজ করে স্ক্রাব করার কাজে ব্যবহার করতে পারি। ঠিক তেমনি শশার সাথে অন্যান্য উপাদান দিয়ে প্যাক বানাতে পারি।
ব্যবহারঃ
এই শশার প্যাক বানাতে আপনি শশার রস,মধু, আর চালের গুঁড়া দিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। শশার রস মুখে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী উপাদান।
সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে। তবে হ্যাঁ কারো যদি মধুতে এলার্জি থাকে তাহোলে শশার রস আর চালের গুঁড়ো ব্যবহার মরতে পারুন। তবে খেয়াল রাখবেন ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করবেন না।
উপরে কয়েকটি সহজ ও ঘরোয়া উপায় দেয়া হয়েছে। এগুলো আপনি সহযে ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন